সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
উদ্যোগ থেকে উদ্যোক্তা, যারা পিছুটান দিয়ে থাকবে তাদের উদ্যোগ নাই। যারা কষ্ট করে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের ধন্যবাদ। আমাদের চেষ্টার কমতি ছিলো না, নারায়ণগঞ্জের লোকেরা বিরাট ধনী তারা ঢাকায় যায় বসুন্ধরা বারিধারায় কেনাকাটা করে। তারা এইখানে কিনতে আসবে কেন? আর যারা ঢাকায় চাকরি করে তবে এইখানে থাকে তারা সারাদিন চাকরি করে রাতে যখন বাসায় ফিরে এরপর আর মেলায় ঘুড়তে তাদের মন চায় না।
শুক্রবার(২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসদাইর পৌর স্টেডিয়ামে সপ্তাহব্যাপী এসএমই মেলার সমপানী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীমউদ্দিন একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আশাহত নই, আমি আপনাদের মত আশান্বিত। আমাদের এ মেলা কিন্তু অন্য দশটা মেলার থেকে পার্থক্য রয়েছে। এখানে পণ্য বিক্রি মূল উদ্দেশ্য নয়, উদ্যোক্তা বা পণ্য তৈরি করার মানুষ, ব্যাংক এবং প্রশাসন এই পরিবেশ সাধারণ মানুষের ভেতর আগ্রহ সবগুলো মিলিয়ে এ মেলা। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের মেলার অংশটা গেছে পরে। অনেক মানুষের আগ্রহ ছিলো, অনেক দোকান নিয়েছিলো আগ্রহ করে কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ চাষাড়ার মোড় অথবা পঞ্চবটির মোড়ের দিকে দৌড়ে যায়। এই মোড়ে আর ঢোকে না।
এই জায়গাটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা ব্যর্থতা হয়েছে, এতোগুলো দোকান দেয়ার ম মতে এই মূহুর্তে নারায়ণগঞ্জে আর বড় জায়গাও নাই। আমরা যদি সেটা বালুর মাঠ কিংবা অন্য জায়গায় পেতাম তাহলে মেলায় আরো দর্শনার্থী পেতাম।
বক্তব্য শেষে মেলার শ্রেষ্ঠ স্টলগুলোকে পুরষ্কৃত করেন জেলা প্রশাসকসহ আমন্ত্রীত অতিথিরা। এইবারের মেলায় শ্রেষ্ঠ স্টল হিসেবে পুরুষ্কৃত হন জামালপুর থেকে আগত গ্রাম বাংলার উৎসব হস্ত শিল্প। ২য় পুরষ্কার লাভ করেন আনা ফ্যাশন বুটিক, ৩য় পুরষ্কার লাভ করেন পায়েল নকশী, ৪র্থ পুরষ্কার লাভ করেন রিমু হস্তশিল্প এবং ৫ম পুরষ্কার লাভ করেন স্বপ্ন পূরণ বুটিক হাউজ।
সমপানী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীমউদ্দিন’র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মাসুম বিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, এসমই ফাউন্ডেশন ঢাকা, জিএম নাজিম হাসান সাত্তার, বিসিকের এজিএম মিজানুর রহমান পাটোয়ারী প্রমুখ।