সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ফতুল্লা মডেল থানায় এক সাংবাদিককে লাত্থি মেরে জেলে ভরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসআই বারেকের বিরুদ্ধে। জানা যায় আতিয়া খানম পাতা বিগত ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় নিজ ইচ্ছায় বাসার কাউকে কিছু না বলে বাসা হতে দুটি বাচ্চা সহ বাহির হয়ে যায়। বাচ্চা দুটিকে নিয়ে আতিয়া খানম কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তা পরিবারের কেউ জানেনা। উক্ত বিষয়ে ভুক্তভুগির পরিবার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে।
যার নং-৬৯২। সাধারণ ডায়রী করার পর হঠাৎ করেই ২০ ফেব্রুয়ারি আতিয়া খানম ও তার দুটি বাচ্চা সহ সন্ধান পাওয়া যায় কিন্তু নিজ পরিবারের কাছেও যায়নি এবং স্বামীর সংসারেও ফিরেনি। অজানা কোন জায়গা থেকে আতিয়া খানম পরবর্তীতে তার স্বামীকে তালাক প্রদান করেন। এরপর দুটি সন্তান থেকে মেয়েকে পিতা হিসেবে মোঃ কাওছার আহমেদ দাবী করলে সন্তানের মা একটি বাচ্চা দিতে রাজি হয়। কিন্তু কখন কিভাবে মেয়ে সন্তানকে দিবে তার শ্বশুর আবুল হোসেন কাওছার আহমেদকে বলেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় কাওছার আহমেদ ও তার মেঝো ভাই আরিফ হোসেন নারায়ণগঞ্জ কথা ডটকম এর স্টাফ রিপোর্টার ও তার মা আতিয়া খানমের বাড়িতে যান। সেখানে মার সামনে দু’ভাইকে আতিয়া খানমের বাবা ও ছোট ভাই মিলে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে আহত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আহতরা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে তারাই আবার পুলিশে অভিযোগ দাখিল করে। চিকিৎসা শেষে আহতরা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই বারেক কে।
এরপর আহতরা কথা বলতে গেলে সাংবাদিক আরিফ হোসেনকে এসআই বারেক লাথি মেরে লকআপে ভরার হুমকী প্রদান করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। সাংবাদিক আরিফ তার পরিচয় দিলে এসআই বারেক বলেন তোর মতো সাংবাদিক অনেক দেখেছি। সাংবাদিকের কি দাম আছে? তোরাতো দুই টাকার সাংবাদিক।
তোর মতো সাংবাদিককে লাত্থি মারতে মারতে লকআপে ভরে রাখব। তখন দেখব তোদের দুই টাকার সাংবাদিকের জোর কোথায়? নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা দুই টাকার সাংবাদিক। তার এই আচরণে সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিকরা কখনো দুই টাকার হতে পারে না। একজন সাংবাদিক সিনিয়ার হোক আর জুনিয়ার হোক অথবা স্টাফ রিপোর্টার অথবা ফটো সাংবাদিক সবাই একই পেশায় নিয়োজিত।
একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা মানে গোটা সাংবাদিকের উপরই পড়ে। সাংবাদিকদের প্রতি এই রকম মন্তব্য করায় তীব্র সমালোচনায় পড়েছেন এসআই বারেক। উক্ত ঘটনায় সাংবাদিক মহল মাননীয় এসপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন এবং ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছেন।