সকাল নারায়ণগঞ্জ:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর এর উদ্যোগে আজ শুক্রবার বাদ জুমআ ডিআইটি চত্বর থেকে গাজায় ইজরাইলী গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী।
প্রধান বক্তা বলেন, ফিলিস্তিন ও গাজায় বছরের পর বছর ধরে যে অমানবিক নির্মমতা চলছে তা মানবতার জন্য এক কলংময় অধ্যায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গত দুইদিনে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে যার বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এই দৃশ্য সহ্য করা যায় না। তাই এই হত্যাকান্ড বন্ধ করতেই হবে। সেজন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি ও আরব লীগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দ্রুততার সাথে জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন, সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ইউরোপে, আমেরিকায় ও ইজরাইলে কি কোন বিবেকবান মানুষ নাই? মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানগণ কি সব অন্ধ ও বধির? নিস্পাপ শিশুদের এমন নির্মম মৃত্যু ও গণহত্যার পরেও কি ইজরাইলকে থামানোর মতো কেউ নাই বিশ্বে? তাহলে এই সভ্যতা, এতো এতো সংস্থার কি দরকার? যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘণ করে ইজরাইল একতরফা মুসলমানের রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে। ইজরাইলের এই বর্বরতা সম্মিলিকভাবে রুখে দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতে উগ্রবাদী কসাই মোদির নির্দেশে হোলি উৎসবের নামে নির্বিচারে মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। মুসলমানদের বাড়ী-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। প্রতিবাদ করায় অনেক মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করে মোদি সরকার মুসলমানদের রক্তের নেশায় মেতে উঠে। ভারত সরকার যদি মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ না করে তাহলে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্যবর্জন এবং প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ভারত তাদের কর্মকান্ডে প্রমাণ করেছে তারা অসভ্য ও বর্বর জাতি।