সকাল নারায়ণগঞ্জ:
চাষাড়া শহীদ মিনারে আজ আনুমানিক সময় রাত ৯ টার সময় মাজদাইর এর চিহ্নিত ছিনতাইকারি অয়ন ওমর এর নেতৃত্বে হঠাৎ অতর্কিত ভাবে প্রায় ৬০-৭০ জন ছেলে ১ টা ছেলেকে মারধর করছিল। ঘটনাস্থলে উপস্তিত হলে দেখা যায় কমিউনিটি পুলিশের প্রায় ১০-১৫ জন সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্তিত হয়ে ঝামেলা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে এবং দুই দলের দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়, তার কিছুক্ষণ পরেই আরো ৫০-৬০ জনের একটি গ্যাং ঢুকে আবার আরেকজনকে মারতে মারতে শহীদ মিনারের বাইরে নিয়ে যায়।
অবস্থা বেশামাল দেখে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় ফোন দিলে এস আই সোহেল ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে কিছুটা স্বাভাবিক করেন এবং তারপরেই খানপুর হাসপাতালে যায় আহত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পুলিশের উপস্তিতি বুঝতে পেরে হামলাকারী যিনি আহত হয়েছিলেন সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় পাওয়া যায় ভিকটিম কে এবং তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে চাষাড়ায় চটপটি খেতে গেলে তার উপরে অতর্কিত ভাবেই হামলা করে। হামলাকারী কাউকেই সনাক্ত করতে পারা যায়নি। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার কর্তব্যরত অফিসার এস আই সোহেল বলেন হামলার কোন যথাযথ কারণ এখনো যানা যায়নি এবং কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি ভিকটিম এবং কমিউনিটি পুলিশ, তাই এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি কিন্তু তিনি বলেন এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে সেদিকে নজর রাখবেন।
গত ২১ শে ফেব্রুয়ারির পর দেখা যায় চাষাড়া শহীদ মিনারে কোন আলো বা বাতির যে ব্যাবস্থা ছিলো সেটা এখন নেই, যার জন্য অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে প্রায়শই মারামারি, নারী উত্যক্ত, ছিনতাই সহ নানান রকম ঘটনা ঘটায়।
ছাত্র পরিচয়েও এমন নানান কুকর্ম করে যাচ্ছে, সাংবাদিক ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেয়া হয়।ছাত্র পরিচয়ের ট্যাগ ব্যাবহার করে অনেকে করছে কুকর্ম। জেলা প্রশাসকের এই নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনারে দৃষ্টি দেয়া দরকার।