সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
বৃহত্তর ঢাকা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর একেএম শামসুজ্জোহা সাহেব’র সানিধ্যে আসার সুযোগ হয় আমার। তিনি আমাদের নেতা ছিলেন আবার তাকে আমাদের রাজনৈতিক গুরু ও বলতে পারেন। তার কাছ থেকে আমরা অনেক শিখেছি। একেএম শামসুজ্জোহা সাহেব ১৯৮৭ সালে যখন মারা যান তখন তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ৬৩ বছর। কিন্তু এই ৬৩ বছর বয়সে তিনি অনেক কিছু অর্জন করে গেছেন। তিনি আমাদের সবার মন জয় করে গেছেন। তিনি খুব উদার মনের মানুষ ছিলেন। যদি তিনি দেখতেন কোনো কর্মী খুব খারাপ অবস্থায় আছে তখন তিনি তার পকেটের সব টাকা সেই কর্মীকে দিয়ে দিতেন। তার বাড়িতে বাজার হবে কি না এইটা তিনি চিন্তা করতেন না। এইটা তার একটি বৈশিষ্ট ছিলো , যার জন্য তিনি নেতা হতে পেরেছেন।
বৃহস্পতিবার(২০ ফেব্রæয়ারী) সন্ধায় নগরীর ২নং রেলগেইটস্থ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে প্রয়াত জননেতা মহান মুুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স্বাধীনতা(মরণোত্তর) পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সদস্য একেএম শামসুজ্জোহা সাহেবের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ কতৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি আমাদের প্রয়াত নেতাদের স্মরণ না করি তাহলে পরবর্তী প্রজন্মও আমাদের স্মরণ করবে না। তাই আমাদের উচিত আমাদের প্রয়াত নেতাদের স্মরণ করা। আগামী ২৫ ফেব্রæয়ারী বাদ মাগরিব আমাদের আরেক প্রয়াত জননেতা আলী আহম্মদ চুনকা সাহেব’র স্মরণে আমাদের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল বলেন, আমার শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমি নৌকার জন্য কাজ করবো, আমি আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করবো, আমি শামসুজ্জোহা ভাইয়ের নৌকার জন্য কাজ করবো। দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের নেতা ছিলেন শামুসজ্জোহা ভাই। আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী শ্রদ্ধা করতেন শামসুজ্জোহা চাচাকে। তাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক নাই। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি তাকে।
বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।