সকাল নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট ও হকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নগর ভবনের অডিটরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন বক্তা তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সভায় বক্তারা শহরের এই দুটি বড় সমস্যা সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নাসিক প্রশাসক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম কামরুজ্জামান সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, সচিব (উপ-সচিব) মো. নূর কুতুবুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, যাত্রী অধিকার ফোরামের সভাপতি রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মাহবুবুর রহমান মাসুম, নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাড. এবি সিদ্দিক, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু ইউসুফ খান টিপু, সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, জামায়াতে ইসলামী মহানগর আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার, সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি আহমেদুর রহমান তনু, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা সাধারণ সম্পাদক ফারুক মহসিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এসময় রফিউর রাব্বি বলেন, “ফুটপাত অবশ্যই হকার মুক্ত করতে হবে। ৯ লাখ নগরবাসীর বিরুদ্ধে গিয়ে ২-৫ হাজার হকারের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। আমরা শহরে ড্রেনের কাজের জন্য যে ক্ষতি ভোগ করছি, তার সমাধানও জরুরি। শহর এমনিতেই কলাপ্স করেছে এবং এসব সমস্যার অস্থায়ী সমাধান দেওয়া হলেও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থায়ী সমাধান করতে হবে।”
অ্যাড. মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, “আমরা যে পতিত অবস্থায় আছি, তা থেকে মুক্তি পেতে সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনকে সমন্বয় করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা যদি মরে গিয়ে মতামত দিতে না চাই, তাহলে সড়ক, রেললাইন এবং বাস স্টেশনগুলোর পরিকল্পনাও পরে নেওয়া যাবে, কিন্তু আগে যানজট সমস্যা সমাধান করতে হবে। ফুটপাতে হাঁটার মতো অবস্থা নেই।”
আবু ইউসুফ খান টিপু বলেন, “যানজট মুক্ত করার জন্য রাইফেল ক্লাব এবং বাইতুল আমান এলাকায় সড়ক প্রশস্ত করা প্রয়োজন।”
আওলাদ হোসেন বলেন, “শহরে আইনের প্রয়োগ নেই। যদি আইন প্রয়োগ করা হয়, তাহলে ফুটপাতে হকার থাকবে না, বাস রাস্তায় দাঁড়াবে না এবং ট্রেনও সময়মতো চলবে। এজন্য প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
আবদুল জব্বার বলেন, “ফুটপাত অবশ্যই সরিয়ে নিতে হবে। ইজিবাইক শহরের মূল সড়কে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য নাসিক ও জেলা প্রশাসনকে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
সুলতান মাহমুদ বলেন, “এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন উদ্যোগ গ্রহণ করলেই ব্যাপক সমাধান সম্ভব। নগরবাসীও এই উদ্যোগে সহযোগিতা করবে।”
অসিত বরন বিশ্বাস বলেন, “শহরে শায়েস্তা খাঁ ও মীরজুমলার মতো দুটি ইন্টারলিংক রোড রয়েছে কিন্তু তা ব্যবহৃত হচ্ছে না। একটিতে সব সময় বাজার বসে থাকে এবং অন্যটিতে দুপুরের দিকে। কেন এটা হতে দেওয়া হচ্ছে?”
ফারুক মহসিন বলেন, “জনপ্রতিনিধিরা হকারদের পুনর্বাসন নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ৬১৬ হকারকে পুনর্বাসনের জন্য হকার্স মার্কেট দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তাদের আবার ফুটপাতে বসতে দেখা যাচ্ছে।”