সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন (রেঃজিঃ বি-২১৪৩), বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন (রেঃজিঃ বি- ২১৪৮) ও চট্টগ্রাম লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন রেঃজিঃ নং-২০৯০ এর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয় অফিস বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নদী বন্দর, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার ১১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার সময় নারায়নগঞ্জ ৫নং ঘাট পোর্ট এরিয়া এলাকায়স্থ অস্থায়ী কার্যালয়টি ভাঙ্গার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন এর সাবেক সভাপতি মহানগর বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন শোখন অভিযোগ করে বলেন, আমরা বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দরা এই অস্থায়ী কার্যালয়টি থেকে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার করতাম। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলেও এখান থেকে শ্রমিকদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো। আমি গত ১৫ বছর পূর্বেও এই কার্যালয়ে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছি। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী দোসর’রা পালিয়ে যাওয়ার পর পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এই সংগঠনের কার্যালয়টির আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি। এরপর কার্যালয়টির পূর্ণনির্মাণের উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আমাকে মৌখিকভাবে ৫নং ঘাট এলাকায় ছোট পরিসরে একটি অস্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের অনুমতি প্রদান করেন। এরপর কার্যালয়টি নির্মাণাধীন কালে আওয়ামী লীগের দোসর, আজমেরী ওসমানের ক্যাডার শিবলী মাহমুদ’র ইন্দনে (বিআইডব্লিউটিএ) এর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান রাতের আধারে আমাদের কার্যালয়টি ভেঙ্গে ফেলে। এ বিষয়ে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা আশাবাদী অতিদ্রুত আমাদের সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়টি পূর্ণ নির্মাণ করতে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সহাযোগিতা করবেন। অন্যথায় বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন এর শ্রমিক কর্মচারীরা কর্মবিরতি, ধর্মঘট সহ বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সরকারী কোন প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত জায়গায় কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। মাননীয় নৌ পরিবহন উপদেষ্ঠা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর পরির্দশনে আসলে এই নির্মাণাধীন কার্যালয়টি তার দৃষ্টিগোচর হয়। এসময় তিনি দ্রুত এটি অপসারণের মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করলে আমরা তা অপরাসণ করি। তাছাড়া বিআইডব্লিউটিএ এর নির্ধারিত জায়গায় অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে ৩নং মাছ ঘাটের ইজারাদার শিবলী মাহমুদ মুঠোফোনে প্রতিবেদকে জানান, আমার নামে যে অভিযোগটি উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি বিআইডব্লিউটিএ এর নিজস্ব সম্পত্তি। অভিযানের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নিজস্ব বিষয়। কারো কথায়তো আর বিআইডব্লিউটিএ এর সরকারী কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করে না।