সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
সন্ত্রাসী ও চিন্তায়কারী রাজু, আলভী, মুন্না, সিনহা, রমজান, জয়, রোহান, মেহেদী,আসিফ, নাজমুল সহ সকল আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।।
ইয়াদ রিপোর্ট।। মোবাইল ছিনতাই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ মোবাইল ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জের সকলের পরিচিত সংবাদপত্র বিক্রয় কর্মী এবং হকার ইউনিয়নের নেতা মোঃ কামরুল হাসান রোমান কে নির্মমভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড, লাঠি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে । এ ব্যাপারে আহত হকার নেতা মোঃ কামরুল হাসান রোমান বাদী হয়ে বন্দর থানায় সন্ত্রাসী রাজু সহ ১০ জনকে একটি হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি করে। অবিলম্বে উক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন সংবাদপত্র হকার সমিতির নেতৃবৃন্দ। আহত মোঃ কামরুল হাসান রোমান এর লিখিত অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
বরাবর
অফিসার ইনচার্জ বন্দর থানা, নারায়ণগঞ্জ।
বিষয়ঃ অভিযোগ।
জনাব
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ কামরুল হাসান রোমান (৪৮), পিতা-মৃত মনির হোসেন, সাং-ফরাজীকান্দা, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ থানায় হাজির হইয়া বিষাশী ১. আজ, কাম, পিএল- আব্দুর রশিদ, ২. আলভী (২৬), পিতা-মৃত নুরুল হুদা ৩. মুন্না (৩১), পিতা-ফরিদ মিয়া এ সিনহা ২৭। ৭ি৩০ কবির হোসেন, ৫. রমজান (৪১), পিতা-মৃত হাসান, ৬. জহিরুল ইসলাম জয় (২৮), পিতা-মোক্তার হোসেন, ৭. রোহান (২৮), পিতা-সিরাজ মিয়া, ৮. মেহেদী (২৮), পিতা-অজ্ঞাত, ৯. আসিফ (২৫), পিতা-অজ্ঞাত, ১০. নাজমুল (২৬), পিতা-অজ্ঞাত, সর্ব সাং-ফরাজীকান্দা, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জদের সহ অজ্ঞাতনামা ০৮/০৯ জনদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, উক্ত বিবাদীগন আমার পূর্ব পরিচিত। ২৫৭ নং বিবাদীদ্বয়ের সহিত আমার ভায়রার ছেলে সুমিত (২৫) মোবাইল ছিনতাইয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া পূর্ব হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং-০৮/১১/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৮ ৩০ ঘটিকার সময় বন্দর থানাধীন ফরাজীকান্দা সাকিনস্থ আমার নিজ বসত বাড়ীতে বিবাদীগন পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া বেআইনি জনতাবদ্ধে একত্রিত হইয়া লাঠি, ধারালো দা, লোহার রড, ধারালো চাপাতি, ধারালো রামদা, ধারালো চাকু নিয়া অনধিকারে প্রবেশ করিয়া আমার ছেলে স্বাধীন (২০) এবং ভায়রার ছেলে সুমিত (২৫) এবং আমার ভায়রা সুমন (৪৫) দের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমার ছেলে স্বাধীন (২০) এবং ভায়রার ছেলে সুমিত (২৫) এবং আমার ভায়রা সুমন (৪৫) গন তাহাদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে বিবাদীগন আমার ছেলে স্বাধীন (২০) এবং ভায়রার ছেলে সুমিত (২৫) এবং আমার ভায়রা সুমন (৪৫) দের এলোপাথারী কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। তাহাদের ডাক চিৎকারে আমি আমার ছেলেকে বাচাতে আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন আমাকে এলোপাথারী কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া নিলাফুলা জখম করে। একপর্যায়ে ১ নং বিবাদীর হুকুমে ২ নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার বাম পাশে কপালে কোপ মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ৭ নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহা রড দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় বারি মারিলে উক্ত বারি আমি বাম হাত দিয়া ফিরাইলে উক্ত বারি আমার ডান হাতের আঙ্গুলে লাগিয়া গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। ৩ নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার ডান হাতে কনুইয়ে বারি মারিয়া থেতলানো জখম করে। ৪ নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়া আমার বাম হাতে কনুইয়ে বারি মারিয়া থেতলানো ছেলা জখম করে। ৫ নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার পায়ের পাতায় বারি মারিয়া থেতলানো ছেলা জখম করে। আমার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদীগন আমাকে ও আমাকে পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। উপস্থিত লোকজন আমাকে উদ্ধার করিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে। বিষয়টি আমার পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।