সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টর (সিপিসি) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ উদঘাটনপূর্বক নিয়ন্ত্রন, প্রতিরোধ ও আইনের আওতায় আনার জন্য সাইবার সংক্রান্ত মামলা তদন্ত এবং অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
উক্ত সেল সিপিসির ফেসবুক পেইজ, হটলাইন নাম্বার ও ইমেইলের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে সাইবার সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ গ্রহন পূর্বক অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সিআইডি প্রধান অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল জনাব মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিএম, পিপিএম এর নির্দেশনায় সিআইডির সাইবার টিমের একটি চৌকস দল গত ইং ২০/০৩/২০২৪ তারিখ ভুয়া সিআইডি পরিদর্শকের ছদ্মবেশ ধারণ করে অসংখ্য নারীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রতারক মোঃ মোশারফ হোসেন ② নয়ন (৩০)কে গাজিপুর জেলার কালিয়কৈর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
উক্ত প্রতারক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক, ইমু, টিকটক) ব্যবহার করে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে সুযোগ বুঝে তাদের ভিডিও কল করে, কৌশলে তাদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতো। সে সকল নারীদের সঙ্গে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে নানা প্রলোভনে তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করে তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ই ছিলো তার কাজ।
ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টার বিষয়টি অনুসন্ধান করে উক্ত প্রতারক মোঃ মোশারফ হোসেন (২) নয়ন (৩০) কে শনাক্ত পূর্বক গাজিপুর জেলার কালিয়কৈর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তার নিকট থেকে ০২টি মোবাইল ফোন, ০১টি সিআইডির জ্যাকেট সদৃশ্য জ্যাকেট, ০১টি ওয়াকিটকি, ০১টি নকল পিন্ডল (পিস্তল সদৃশ্য গ্যাস লাইটার) ০১টি সিআইডির ভূয়া আইডিকার্ড, এবং ০১টি জাতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়। তার স্মার্টফোনে অসংখ্য মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি পাওয়া যায়। উক্ত ছবি এবং ফুটেজের ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রতারক প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন ধরে সে নিজ পরিচয় গোপন রেখে প্রতারণার উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইক ফেসবুক আইডি, ইমু, টিকটক) ব্যবহার করে সিআইডি ইন্সপেক্টর পরিচয়ে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতারণা করে আসছে।
আসামি সিআইডি ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে ভুয়া আইডি কার্ড ও বিভিন্ন টেইলার্স এর সাথে সখ্যতা করে সিআইডির জ্যাকেটের আদলে জ্যাকেট তৈরি করে এবং অনলাইনে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে ওয়াকিটকি ও পিস্তল সদৃশ্য গ্যাস লাইটার হোম ডেলিভারি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতারণা করে আসছিলেন। সাইবার পুলিশ সেন্টারের অভিযানকালে আসামীর নিজ দখল হতে উপরোক্ত আলামত জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে পল্টন মডেল থানা (ডিএমপি) ঢাকাতে মামলা নং-২৭, তারিখ- ২০/০৩/২০২৪ ইং, ধারা- পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ এর ৮(১)/৮ (২)/৮ (৩)/৮ (৫) এবং পল্টন মডেল থানা (ডিএমপি), ঢাকার মামলা নং-২৮, তারিখ- ২০/০৩/২০২৪ ইং, ধারা- পেনাল কোড ১৭০/১৭১/৪২০ তৎসহ সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর ২৪(২)/২৫(২)/২৬(২)/২৯(১)/৩৫(২) রুজু করা হয়েছে।