সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের অন্যতম বিদ্যাপীঠ গনবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরবের পঞ্চাশ বছর তথা সূবর্ণ জয়ন্তী বিভিন্ন প্রকার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।
গতকাল (১৬ ফেব্রæয়ারী) শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় বিদ্যালয়টির শত শত প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে সূবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে স্কুল প্রাঙ্গন থেকে ব্যানার, প্লাকার্ড, সজ্জিত ঘোড়ারগাড়ী এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা বের করা হয়।
র্যালীটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে শেষ হয়। র্যালী শেষে বিদ্যালয়ের সূবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ভাষা সৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সহচর, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত আলহাজ¦ মহিউদ্দিন আহমদ খোকার দ্বিতীয় সন্তান আলহাজ¦ ফয়েজ উদ্দিন আহমদ লাভলুর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিক ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ^াস, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ বিভা,কাষ্টমসের সাবেক কমিশনার জামাল হোসেন এবং অত্র বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মফিজুল ইসলাম প্রমূখ। প্রথম পর্বের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৫০ বছর উদ্যাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক নাসিক কাউন্সিলর মোঃ নাজমুল আলম সজল। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জাব্বার ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন। আলোচনা শেষে অতিথিদের সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
৫০ বছর উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে সারাদিন ব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোট ৮ শত জন প্রাক্তন ছাত্র, প্রাক্তন প্রধান ও সিনিয়ির শিক্ষকগন এবং বর্তমান শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ সহ স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষার্থীগন উপস্থিত ছিলেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন ব্যাচের প্রতিনিধিদের স্মৃতিচারণ এবং ফটো সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিক প্যানেল মেয়র মোঃ আব্দুল করিম বাবু, বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা। আলোচনা শেষে অতিথিদের সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান ও উপস্থিত সকলকে সান্ধ্যকালীন নাস্তা পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে মনোমুগ্ধকর যাদু প্রদর্শন করেন দেশের অন্যতম যাদু শিল্পী কবীর প্রধান।
পরে অতিথিদের সাথে নিয়ে সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ৫০ পাউন্ডের কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ আয়োজন কনসার্ট। এতে অংশ গ্রহন করে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের অন্যতম ব্যান্ড দল অবসকিউর। কনসার্ট শেষে আতশবাজি ফুটানোর মধ্য দিয়ে সূবর্ণ জয়ন্তীর জমকালো অনুষ্ঠানের পর্দা নামানো হয়।