মিয়ানমারের সীমান্ত হাব মিয়াওয়াদিতে সরকারি একটি স্থাপনায় বোমা হামলায় পাঁচ সরকারি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। সোমবার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ওই শহরে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পড়ার পর থেকে সামরিক বাহিনী ও জান্তাবিরোধী যোদ্ধাদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে।
সামরিক একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যার দিকে দুটি বোমা জেলা পুলিশের দপ্তর এবং প্রশাসন ভবনের দপ্তর থাকা ওই সরকারি কম্পাউন্ডে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এরপর আরও দুটি বোমা ফেলা হয়। এতে পাঁচজন নিহত এবং ১১ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে সামরিক এক কর্মকর্তা, দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। ১১ জুনিয়র ও সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এ হামলার পেছনে কারা দায়ী সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
জান্তা জানিয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে অভ্যুত্থানবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস ও কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কয়েকটি সেনাছাউনি ও পুলিশ স্টেশনে একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৮ জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা।
২০২১ সালে অভ্যুত্থান শুরুর পর থেকে ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ ও ‘পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ জান্তা সরকারের বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে মিয়াওয়াদিতে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে জান্তা সরকার। অনেক বিদ্রোহী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।