প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মাধ্যমিক ও সমমান বিদ্যালয়ের (৯ম-১০ম শ্রেনী) মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে জনশুমারী ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের ট্যাবলেট ও ঝুকি পূর্ন রোগে আক্রান্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ই এপ্রিল) দুপুর ২ টায় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ট্যাবলেট ঝুকি পূর্ন রোগে আক্রান্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমন। এসময় সদর উপজেলার ৫৮ টি স্কুলের মধ্যে ৩২৪ জন শিক্ষার্থীদের ট্যাবলেট ও ঝুকি পূর্ন রোগে আক্রান্ত ৫৪ জনের মাঝে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে নগদ অর্থ বিতরন করা হয়।
ঐ সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শামীম ওসমান বলেন, বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের উপর ছুরিকাঘাতের হামলা ঘটে। তার সঙ্গে আমার দুই একবার কথা হয়েছে । ভদ্রলোক মানুষ শিক্ষিত লোক। সিদ্ধিরগঞ্জ বাড়ি। এলাকার একজন সাবেক এমপি আছেন। ওনি অনেগুলো খুনের সঙ্গে জড়িত। ওনার ব্যাপারে আমি বলতে চাই না ওনাকে আমি ফ্যাক্টর মনে করি না। সাবেক এমপির ছেলে রিফাত সহ আরো কয়েকজন মিলে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাদের পরিকল্পনায় একজন হেরোইনখোর পল্টনে মামুন মাহমুদকে ছুরিকঘাত করা হয়।
এক প্রতিদ্বন্দ্বিকে সরিয়ে দেওয়া ও আর দ্বিতীয়ত বিএনপির সেক্রেটারী মারা গেলে আমাদের উপর দোষ ফেলা। ওই ঘটনাটি মতিঝিলের পুলিশ কমিশনার বেশ গুরুত্ব সহকারে নেয়। ওনি দেখলেন একজন অধ্যাপক মানুষ বিএনপি নেতা কেন একজন হেরোইনখোর কেন মারতে যাবে। পরে গ্রেপ্তারকৃতকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে এবং আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১৬ জুন যেভাবে বোমা হামলা হয়েছিল ঠিক একইভাবে ইফতারের আগে এমন একটি ঘটনার চেষ্টা করা হবে এবং এতে বহু লোক হতাহত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ আর শামীম ওসমানের উপর দোষ চাপানোর লক্ষ্যে তারা এমনটি করবে বলেও বলেন শামীম ওসমান। বিএনপি কিন্তু একটার পর এক প্রোগ্রাম করেছে আমরা কিন্তু বাধা দেইনি। এর আগে চাষাড়ায় করেছে। যিনি বিএনপির খেলোয়াড় তিনি তখন ওমরাতে ছিলেন।
খবর এসেছিল হামলা হবে। সে কারণে সংসদ ছেড়ে পাহারা দিতে এসেছিলাম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা বিভাগীয় ইফতার মাহফিলে বোমা হামলা হওয়ার আশঙ্কা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। আমি হুঁশিয়ারী করছি আপনারা কি করতে চাচ্ছেন কি করবেন এসব খবর কিছু আমর রাখি। বি কেয়ারফুল, আগামীতে আর ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের জীবন নিয়ে খেলাবেন না। নারায়ণগঞ্জে একটি বাজে গেম চলছে। আমাদের কেউ কেউ হয়তো এর সঙ্গে জড়িত যারা তাদের সঙ্গে আত্মীয়তা রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হিমা খাতুন, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।