নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যতবার নির্বাচন করেছে ততবার বাংলার মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে।
আগেও আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আর ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগ জনগনের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা ১০০ বছর পিছিয়ে গেছি। নাহলে আমরাদের দেশ অনেকটা এগিয়ে যেতো।
রোববার (২৬শে ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরকারি তোলারাম কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মহানগরের ১৩, ১৪, ১৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যদি ক্ষমতায় যাই তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মান করবো। তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার তিনি করবেন। আর সেই ওয়াদা তিনি রক্ষা করে চলছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা যেটা বলে সেটা করে তিনি আরও বলেন, বিএনপির তো ষড়যন্ত্র ছাড়া কোন গতি নাই। ওরা পায়ে পারা দিয়ে ঝগরা লাগতে চাচ্ছে। আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। আমাদের নেত্রী হচ্ছেন নীলকন্ঠি। তিনি বিষকে হজম করেন। তিনি আমাদের ধৈর্য ধরতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ধৈর্য ধরে আছি। কিন্তু ধৈর্যের একটা সিমা আছে।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ টিপু সুলতানের সঞ্চালয়না কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শ্রীমতি ঊর্মি ঢালীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন – কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য মুন্সি নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক ভিপি জামির হোসেন রনি, সাবেক সদস্য মোঃ ছগির আহম্মেদ, মোঃ কায়কোবাদ রুবেল ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলী হাসান সজীব, মোঃ রফিকুল ইসলাম জয়, প্রমূখ।
এছাড়াও সম্মেলনের প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজিব দাস, রাকিব হাসান, বায়োজিৎ আহম্মেদ, রাজিব চন্দ্র দাস, মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, সুমন চন্দ্র গোপ, তানহা ইসলাম, রাজিব চন্দ্র নন্দী, আবেদ হোসেন, সবুজ চন্দ্র দাস।