নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন আমার যেতোটুকু মনে হয়, বিএনপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুটো ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একটা গ্রুপ হচ্ছে আম্মা গ্রুপ, যারা খালেদা জিয়াকে বেস করে বিএনপির রাজনীতি করছেন।
আরেকটা হচ্ছে লন্ডনে থাকা তারেক জিয়া, তার ফলোয়ার্স। স্বাভাবিক ভাবেই তারেক জিয়া চাচ্ছে নির্বাচনটা যাতে না হয়। কারণ উনি ১৫ই আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত। তারা যদি নির্বাচন করে তাহলে ১৫১ সিট তারা পাবে না।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘তাদের সাজানো তত্বাবাধায়ক সরকার ছিলো ২০০৮ এ এবং তখনকার সেনা প্রধান থেকে শুরু করে সবই তাদের ছিলো। সেখানেও কিন্তু তারা মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিলো। ইতিমধ্যে দেশে বেশ কিছু জঙ্গি ধরা পরেছে। আর এ বিষয়ে বিএনপির টপ পর্যায়ের সব নেতা জানবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু এমন কিছু ঘটনা সৃষ্টি করা হবে, যে ঘটনা গুলো ঘটলে একটি রাষ্ট্র; ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। অর্থাৎ প্রচুর লাশ চাই, সেটা আওয়ামী লীগের হোক, সাধারণ মানুষের হোক কিনবা বিএনপিরই হোক। এরকম ভাবে নির্বাচনটাকে বন্ধ করার একটি অপচেষ্টা করা হবে ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন এই সময়টায় যারা দেশের ভালো চান তাদের সকলের সচেতন হওয়ার দরকার আছে। কারণ যে জিনিসটা তারা করার চেষ্টা করছে সেটি করলো বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়েও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সব দলেই ভালো লোক আছে, বিএনপির মধ্যেও ভালো লোক আছে; আমার মনে হয় এই বিষয়টা তাদেরও দেখা উচিত ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত বিন ফেরদৌস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, আলীর টেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী প্রমুখ।