নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের সামনে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ছিনতাই ও চুরির মত জঘন্য অপরাধ।
ব্যাংকের সামনে পিঠার দোকান, বটের দোকান ও অবৈধ মিশুক,অটো স্ট্যান্ডের ফলে যানজট সৃষ্টি হলে কিছু মহিলা ও পুরুষ পকেটমার ধাক্কাধাক্কি করে এক পর্যায়ে ব্যাগ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে মোবাইল,টাকাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
এইসকল পকেটমারকে গোপনে ব্যাংকের সামনে থাকা হকারেরা শেল্টার দিয়ে থাকে এবং চুরি করার সময় এরা হাতে নাতে ধরা পড়লে নানা অযুহাত দেখিয়ে ছেড়ে দিতে সাহায্য করে।
এই পকেটমার চক্রটি ধরা পড়ার পর তাদের সাথের সিন্ডিকেটের আরো কিছু পকেটমারের নাম বলেন যারা হচ্ছেন রেহেনা,আলো,ফতেয়া,পিংকিসহ আরো অনেকে।এই সিন্ডিকেটের মুলহোতা হলেন কুত্তা কালাম যার শেল্টারে এইসব পকেটমারেরা রাস্তায় সাধারন জনগনের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এই কুত্তা কালামের বউ হচ্ছে রেহেনা যাকে দিয়েও তিনি এই কাজ করিয়ে বেড়ান।
ভাসমান হকারদের কারনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ব্যাংকে আসা-যাওয়ার ব্যাঘাত ঘটছে এছাড়া হকার ও অবৈধ স্ট্যান্ডের জন্য ব্যাংকের সামনে ভীড়ের সৃষ্টি হলে পকেটমার চক্র কৌশলে সাধারন জনগনের পকেট ও ব্যাগ হতে ছিনিয়ে নিচ্ছে মোবাইল ও টাকা-পয়সা।
সোনালী ব্যাংকের পুলিশের গাড়ি থাকার পরেও পুলিশকে পরোয়া না করে ছিনতাই ও চুরি করে বেড়াচ্ছে এই চক্রটি।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় পুলিশ এইসকল পকেটমারদের নামে মামলা না নেয়ার ফলে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এইধরনের জঘন্যতম অপরাধ।
সুশীল সমাজের দাবী, র্যাব,গোয়েন্দা ও পুলিশ প্রশাসন যাতে অতিদ্রুত ব্যাংকের সামনে থাকা এইসকল হকারদের উচ্ছেদ করেন। এদের উচ্ছেদ করা হলে একদিকে নারায়ণগঞ্জ অনেকটা যানজট মুক্ত ও সাধারন জনগন চুরি ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।