নারায়নগঞ্জের ১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। রাত নামলেই এখন এলাকার কোথাও না কোথাও ঘটছে একাধিক চুরির ঘটনা। খোয়া যাচ্ছে বাসাবাড়ির মালামাল আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। চোরেরা হানা দিচ্ছে ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। এমনকি রেহাই পাচ্ছে না মসজিদ, মন্দির। চোরের এমন উপদ্রবে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। হয়রানি এড়াতে অধিকাংশ ঘটনায় মামলা হয় না থানায়।
হাজারো সমস্যার সঙ্গে ১২নং ওয়ার্ডে এখন নতুন করে যোগ হয়েছে চোরের উপদ্রব। এখানে রাতে কেউ শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ করে ঘুমাতে হয়। তারপরও অভিনব পদ্ধতিতে চোরেরা জানালা খুলে ফেলে। এদের প্রধান উদ্দেশ্য মুঠোফোন চুরি। দেয়ালে ঝোলানো এলইডি টিভি পর্যন্ত অতি সুনিপুণভাবে জানালা দিয়ে বের করে নিয়ে যায়।
শহরের ১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় ছিচকে চোরের উপদ্রব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই কোন না কোন বাসায় ও দোকানে চুরি সংঘটিত হচ্ছে। চোরের হাত থেকে রেহাই পায়নি ডনচেম্বার এলাকায় বসবাসরত সাংবাদিক পরিবারও। এছাড়াও ইতোপূর্বে বেশ কিছু বাসাবাড়িতে চুরি সংঘটিত হলেও অদ্যবদি কোন চোর গ্রেফতার হয়নি। ফলে এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজসহ চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
লোকমুখে শোনা যায়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিছু চোর এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা এতটা দক্ষ যে প্রতিটি বাড়ি থেকেই মুঠোফোন চুরি হয়েছে। এমন কোনো রাত নেই, যে রাতে চুরি হয়নি।কী অপরাধ আমাদের, প্রশাসন আমাদের ব্যাপারে এতটা নির্বিকার কেন?
স্থানীয়রা বলছেন, মাদকের অবাধ বিস্তারের কারণে দিনদিন উঠতি বয়সী তরুণরা আসক্ত হচ্ছে। নেশার টাকার জোগান দিতেই জড়িয়ে পড়ছে চুরিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে।