১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় চোরের দৌরাত্ম্য কিছুতেই কমছে না। সংরক্ষিত আবাসিক এলাকার বাসা-বাড়ি,কেন্দ্রীয় মসজিদ, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ঘটছে চুরির ঘটনা। গত কয়েক মাসে ছোট-বড় প্রায় এক ডজনের বেশি চুরির ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়।
১৩ই জানুয়ারি রোজ শুক্রবার রাতে শহরের ডনচেম্বার এলাকার কাকলী পার্লারের পাশের বিল্ডিংয়ের দুইতালা হতে এক ভাড়াটিয়ার ঘরের জানালা দিয়ে নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় কাপর-চোপর চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।
নারায়ণগঞ্জ সদরের ১২ নং ওয়ার্ড ডনচেম্বার এলাকায় দিনে-দুপুরে ঘটছে চুরির ঘটনা।ক্যামেরা,সাইকেল, ল্যাপটপ, মোবাইল, নগদ টাকা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে আতংক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মাঝে।
গত কয়েকদিন আগে জামাল তালুকদার নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক পরিবারের বাড়িতে হানা দেয় চোরের দল। দুষ্কৃতীরা জানালা দিয়ে ঘরে থাকা নগদ টাকা,ক্যামেরা,মোবাইল,গিম্বল চুরি করে চম্পট দিয়েছে বলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই সাংবাদিক পরিবার।এ বারও ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কোনও দিশা পাচ্ছে না নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় পুলিশ কর্তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার দূর অস্ত, এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাটুকুও তারা দিতে পারছে না বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, চুরির ঘটনায় আমরা মামলা করার পর তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আসামি গ্রেফতার বা মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা শুধু বলেন তদন্ত ও গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা মামলার কোন সুরাহা পাইনা। দিনের পর দিন থানার বারান্দায় ঘুরতে থাকি।
অপরদিকে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জানান,এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও নামধারী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় চোরের দল ১২ নং ওয়ার্ডের সর্বত্র চুরি করে বেড়াচ্ছে। এইসকল প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের ভয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে মামলা করতেও পিছু-পা হচ্ছেন।
অপরদিকে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জানান,এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও নামধারী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় চোরের দল ১২ নং ওয়ার্ডের সর্বত্র চুরি করে বেড়াচ্ছে। এইসকল প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের ভয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে মামলা করতেও পিছু-পা হচ্ছেন।