বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃ জাকারীয়া হাবিব বলেছেন
ব্রাম্ক্ষণবাড়ীয়া জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু আইন দমন ট্রাইবুনাল এক এর বিচারকের উপর কতিপয় আইনজীবীর অসাদআচরন ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছেন যেটা আইন আদালতের প্রতি সম্পুর্নরুপে অমুলক। আমি মনে করি একজন বিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে এ ধরনের কয়েকটি আইনজীবীর আচরন আমাদের ব্যাথিত করেছে। একজন আইন পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি বলতে চাই আইনের কোথাও এ ধরনের আচরন করার বিধান নেই। ওপেন আদালতের এজলাসে আপনারা বয়কট করতে পারেন এটা আইনজীবীদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বিচারকের এজলাসে ঢুকে হুমকী দীবেন,সন্ত্রাসীমুলক কার্য্যক্রম করার এ শিক্ষা আইন পেশায় দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অতান্ত্য সঠিক ভাবে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে শিক্ষা দিয়েছে কি ভাবে চলতে হবে। সে গুলো ভুলে গিয়ে যদি ব্রাম্মনবাড়ীয়ার কতিপয় আইনজীবীদের বদনামের দায়ভার সমগ্র আইনজীবীদের উপর পরে যায়। আমরা সে দায়ভার নিতে আগ্রহী নয়। কতিপয় দুষ্টলোকের দায়ভার আমরা কেনো নেবো।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিন টায় নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে মানবাধিকার কমিশন কতৃক আয়োজিত তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন আমি সকল দেশবাসী ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্হা থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ আইন পেশায় যারা আছেন তাদের কাছে বলতে চাই, যে আইনজীবী হিসেবে আমাদের বলা হয় বিজ্ঞ । একটি বিজ্ঞ পেশায় থেকে কি ভাবে একজন অশিক্ষিত মানুষের মতো আচরন ও সন্ত্রাসীমূলক আচরন এজলাসের ভিতর করেছে। এটা যদি হয়ে থাকে আইনঅঙ্গনের চিত্র তাহলে সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে, কোথায় বিচার পাবে। বিচারের স্থানেই যদি এ অবস্হা হয় তাহলে মানুষ কে অসহায় দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।
আমি মনে করি গুটিকয়েক আইনজীবীর জন্য আইনজীবীদের বদনাম হচ্ছে সমাজের মানুষ সমাআলোচনা করছে। লাখো আইনজীবীদের মধ্যে পাচজন আইনজীবীর দায়ভার আমরা নিতে পারি না। ঐ কতিপয় আইনজীবীদের রুদ্ধ কক্ষে প্রশিক্ষন নেওয়া প্রয়োজন যে কি ভাবে একজন বিচারকের সাথে আদালত এজলাসে কথা বলতে হয়। যারা পড়াশুনা করে তারা কখোনো এ ধরনের আচরন করে না। কিছু আইনজীবী আছে রাতের বেলায় পরাশুনা না করে সকালে কোর্টে এসে বিচারকদের হুমকি ধামকি ও লাঞ্চনা করে জামিন চাওয়ার জন্য জামিন ব্যাবসা করে, এটাই অসাদআচরনের মূলকারন । এই জামিন ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।বাংলাদেশে এই প্রথম মানবাধিকার কমিশন এ বিষয়ে উল্লেখ করতে চায় যে এটা সম্পূর্ণ আচরন বিধি লংঘন। একজন বিচারক একটি জেলার অতিথি তাদের সাথে এধরনের আচরন করলে সেই জেলার মানুষের বদনাম হয়।
তিনি বলেন সুন্দর দেশ ও সোনার বাংলা গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মোতাবেক আমাদের চলতে হবে এবং দেশ উন্নয়ন এর দিকে এগিয়ে যাবে, তবেই না আইনঅঙ্গনের মানুষ গুলো সমার্দিত হবে।
এসময় এ্যাড, ধনন্জ গুহজয়ের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন এ্যাড, আফরোজা সুলতানা, এ্যাড,নিপা খাতুন, এ্যাড, নাসরিন, এ্যাড,আক্তার প্রধান, মানবাধিকার কমিশনের জেলা শাখার সহ সভাপতি
আল আমিন মীর্জা, সদস্য মহোসিনা রহমান, এ কে এম কামরুল ইসলাম, আল মামুন, মোঃ কাইয়ুম খান,মোঃ রায়হান, আব্দুল হামিদ সহ প্রমূখ।