১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় প্রায় বাসায় ও দোকানপাট চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব চুরির পেছনে লেগে থাকে কিছু সংঘবদ্ধ চক্র। যখনই সুযোগ পায় তখনি মুহূর্তের মধ্যে বাসা ও দোকানে থাকা স্বর্ণ,নগদ টাকা,ক্যামেরা,মোবাইল ও দামি জিনিসপত্র চুরি করছে।
চুরির মামলার তদন্ত বেশিরভাগ সময়েই হত্যা মামলার তদন্তের চেয়ে দুরূহ। হত্যার ঘটনায় আসামিরা কোন না কোন ক্লু রেখেই যায়, সেই ক্লু ধরে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা সহজ হয়। তবে অধিকাংশ চুরির ঘটনায় কোন ক্লু পাওয়া যায় না, চোররা বিচ্ছিন্নভাবেই বাড়ি টার্গেট করে চুরির ঘটনা ঘটায়, যার সাথে তাদের কোন যোগসূত্রই থাকে না।
নারায়ণগঞ্জ সদরের ১২ নং ওয়ার্ড ডনচেম্বার এলাকায় দিনে-দুপুরে ঘটছে চুরির ঘটনা।জিআই তার,টিনের গেইট,ক্যামেরা,সাইকেল, ল্যাপটপ, মোবাইল,নগদ টাকা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে আতংক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মাঝে।
৮ই জানুয়ারি রোজ রবিবার ভোর বেলা ১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় চোরেরা জিআই তার ও টিনের গেইট চুরি করে নিয়ে যাওয়াতে এলাকায় তোলপাড় বিরাজ করছে।
রাতের আঁধারে পরিবারের সকল সদস্যরা যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন টাকা, গয়না,ক্যামেরা,সাইকেল,রড,বালুর মত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চক্রটি৷ অনেকেই পুলিশের কাছে আটক হলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের জামিনের ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
১২নং ওয়ার্ডে চোরের হাতে মাল আর ছিনতাইকারীর হাতে জান— সোপর্দ করেই যেন বর্তমান সময়ে চলতে হচ্ছে রাস্তায়, থাকতে হচ্ছে বাসায়। নিরাপত্তার বিষয়টিও যেন হয়ে উঠেছে দুষ্কর। তবে বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনাটিই সম্প্রতি বেড়ে গেছে উদ্বেগজনক হারে এবং এটিই এখন নাগরিকদের আতঙ্কের কারণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক তদারকি ও টহল না থাকায় অহরহ চুরির ঘটনা ঘটছে এলাকা জুড়ে।পুলিশের সঠিক তদারকি না থাকা এবং ১২ নং ওয়ার্ড এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও নামধারী রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশে চুরি করে পার পেয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। মূল্যবান সম্পদ এবং আয়ের উৎস হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকে। এই সংঘবদ্ধ চোরদের কাছ থেকে রক্ষা পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, আমরা এখন অনেক ভয়ে থাকি কখন সবকিছু চুরি হয়ে যায়। অতি দ্রুত এই সংঘবদ্ধ চোরদের গ্রেফতার করা না হলে চুরি থামবে না। তাদের অভিযোগ, চুরির পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর আর খোঁজ থাকে না। সাধারণ মানুষ হিসেবে আর কী করার আছে আমাদের? নিজেরা চুরি যাওয়া মালের সন্ধান করে এক সময় থেমে যেতে হয়।