নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তা এখন হকার এবং অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডের রাজত্ব। এইসকল হকার এবং সিএনজি স্ট্যান্ডের জন্য একদিকে যেমন পথচারীদের রাস্তা চলাচলে সমস্যা হচ্ছে অন্যদিকে নগরীতেও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যানজট ও চুরি।
৬ই জানুয়ারি শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সোনালী ব্যাংকের সামনে এক পথচারীর পকেট থেকে মোবাইল ও টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শান্ত ও শুক্কুর নামে দুই পকেটমার জনতার হাতে আটক হয়। পরে স্থানীয় জনগন ঐ পকেটমার দুইজনকে গনধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেন।
ভাসমান হকারদের কারনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ব্যাংকে আসা-যাওয়ার ব্যাঘাত ঘটছে এছাড়া হকার ও অবৈধ স্ট্যান্ডের জন্য ব্যাংকের সামনে ভীড়ের সৃষ্টি হলে পকেটমার চক্র কৌশলে সাধারন জনগনের পকেট ও ব্যাগ হতে ছিনিয়ে নিচ্ছে মোবাইল ও টাকা-পয়সা।
সোনালী ব্যাংকের পুলিশের গাড়ি থাকার পরেও পুলিশকে পরোয়া না করে ছিনতাই ও চুরি করে বেড়াচ্ছে এই চক্রটি।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় পুলিশ এইসকল পকেটমারদের নামে মামলা না নেয়ার ফলে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এইধরনের জঘন্যতম অপরাধ।
অনুসন্ধানে জানা যায়,প্রতিদিন পকেটমার ধরা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দিলে পরেরদিন আবার সেই একই পেশায় পথে নামছে এই চক্র।এই চক্ররের পিছনে কাজ করছে তাদের গডফাদাররা যারা নাকি শহীদ মিনারে ভিতরে থেকে শেল্টার দিচ্ছে এই চক্রটিকে।
এই পকেটমার চক্রটি ধরা পড়ার পর তাদের সাথের সিন্ডিকেটের আরো কিছু পকেটমারের নাম বলেন যারা হচ্ছেন রেহেনা,আলো,ফতেয়া,পিংকিসহ আরো অনেকে।এই সিন্ডিকেটের মুলহোতা হলেন কুত্তা কালাম যার শেল্টারে এইসব পকেটমারেরা রাস্তায় সাধারন জনগনের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এই কুত্তা কালামের বউ হচ্ছে রেহেনা যাকে দিয়েও তিনি এই কাজ করিয়ে বেড়ান।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের দাবি,ব্যাংকের সামনের অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডের ও ভাসমান হকারদের জন্য প্রতিনিয়ত সময় মত অফিস যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে এছাড়া প্রতিদিন ব্যাংকের সামনে কাউকে না কাউকে কান্না করতে দেখা যায় মোবাইল চুরির জন্য। স্থানীয় জনগন একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছে এইসকল পকেটমারের কারনে।
গোপন সূত্রে জানা যায়,সোনালী ব্যাংকের সামনের একটি পিঠার দোকান রয়েছে যেখানে এই পকেটমার চক্রটি প্রতিদিন মোবাইল চুরি করে জমা দিলে তাদের রোজ ১০০০ টাকা করে দেয়া হয়ে থাকে।