নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, বর্তমানে মানুষ যা চায়, বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে আমি শামীম ওসমান তা করতে পারি না। ১৯৯৬ সালে আমি একাই সব পারতাম, পুলিশের কোনো প্রয়োজন ছিল না।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নয়া আটি মুক্তিনগর এলাকায় শিফা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্যোগে ৫২তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমরা এমন জাতি, যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাকেই সাড়ে তিন বছর পর মেরে ফেলি।
আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ২১ বার হত্যা করার জন্য চেষ্টা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বাবা-মা থাকা মানে মাথার ওপর বটগাছের ছায়া থাকা।
এখনকার সন্তানদের বলছি, জীবিত থাকা অবস্থায় তাদের সেবা করুন। যখন মা-বাবা থাকবে না তখন বুঝবেন, তারা কতে আপন।
শামীম ওসমান বলেন, ইদানিং আমি দেখি নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে পাঁচজন দাঁড়িয়ে আমাকে গালি দেয়। আমি কিছুই মনে করি না। তারা গীবত করে, আমার তাতে কিছু যায় আসে না।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বোমা হামলায় রক্তাক্ত অবস্থায় সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করছিলেন শামীম ভাই কিছু বলবেন কি না- আমি শুধু একটি কথাই বলেছিলাম- শেখ হাসিনাকে বাঁচাও ।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল। শিফা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান আরটিভির জেলা প্রতিনিধি সাহাদাত হোসেন স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, জাতীয় ওলামা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বীপী, সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন রবিন, কালের কণ্ঠ ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি দিলীপ কুমার মন্ডল প্রমুখ