চোরের বেপরোয়া অত্যাচারে ১২নং ওয়ার্ড ডনচেম্বার এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে সি.সি ক্যামেরা থাকার পরও চুরি বন্ধ হচ্ছে না। এমন কি চুরি করে এলাকার দারোয়ানের চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। ফলে এলাকার হতদরদ্রি মানুষগুলো মুল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে বিপাকে পড়েছে। মাঝেমধ্য চোর হাতে নাতে ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে জামিন হয়ে আবারো চুরিতে লিপ্ত হচ্ছে।
বর্তমানে রাতে পুলিশী টহল না থাকায় চোরের দল কৌশল পাল্টেছে চুরির। দিনের বেলা কিংবা রাতের শুরুতেই বিভিন্ন বাসা থেকে মোবাইল ফোন, কাপড়ছোপড় ও দামি জুতা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এসব চায়ের দোকানে চোরের দল আড্ডা দিয়ে থাকে এবং চুরির প্ল্যান করে। চায়ের দোকানগুলোতে পুলিশী অভিযান না থাকায় এসব অপরাধ হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
স্থানীয় কিছু ব্যক্তিবর্গ এইসকল চোরদের শেল্টার প্রদান করে থাকেন।চুরির অপরাধে জেলখানায় যাওয়া চোরদের তারা জামিনে বের করে নিয়ে আসে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত হলেই কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবীদের আনাগোনা বাড়ে।খানপুর ডনচেম্বার সহ আশেপাশের এলাকায় গভীর রাতে বসে গাঁজা সেবনের আসর। দারিদ্র্য পরিবারে জন্ম নেওয়া এসব লোকজন মাদকাসক্ত হওয়ায় তারা এলাকায় ছোট ছোট চুরির কাজে জড়িয়ে পড়ছে।এছাড়া এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় এত দারোয়ান থাকার পরও কিভাবে এইরকম চুরির ঘটনা ঘটে তার প্রতি ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ না হলে এর পরিধি আরও বাড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান,চুরির ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে বেশিরভাগ সময় কোন ফলাফল না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা মামলা করতে উৎসাহ পায় না। ফলে বেশিরভাগ চুরির ঘটনা নীরবে থেকে যায় এবং পাড়া মহল্লায় চোরের সংঘবদ্ধ চক্র বার বার চুরি করতে উৎসাহ পায়। পাড়া মহল্লায় নিয়মিত টহল, চুরির মামলায় দ্রুত তদন্ত ও বিচার এবং থানায় রেকর্ডধারী যে সমস্ত ছিঁচকে চোর, গ্রিল কাটা চোর এবং সংঘবদ্ধ চোর-ডাকাতের তালিকা আছে তার সূত্র ধরে গ্রেফতার অভিযান চালালে চুরির ঘটনা দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব।