মাদকে ভাসছে গোটা ২ং গেইট রেলষ্টেশন এলাকা। হাত বাড়ালেই মিলছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। জেলা পুলিশ উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা বার বার মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী দিলেও কিছুতেই কর্ণপাত করছে না মাদক ব্যবসায়ীরা।
তবে সদর থানার পুলিশ থানার অন্যান্য এলাকা মাদকের ব্যপারে কঠোর ভুমিকা নিলেও ২নং রেল গেইট এলাকায় পুলিশের তৎপর না থাকায় আর এ সুযোগে এই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেপোয়ারা হয়ে ওঠছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
তবে সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিচঁকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা পুলিশের দূর্বল চার্জশীটে, মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাবের কারণে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য বিধান থাকায় এরা সাজা শেষ হওয়ার আগেই জামিনে বের হয়ে আসছে।
২নং রেল গেইট এলাকায় টহল পুলিশ বসে থাকতে দেখা গেলেও তাদের সামনেই প্রাকাশ্য মাদক বিক্রি করতে দেখা যায়।
সচেতন মহলের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান অথচ মাদকের মুল গড ফাদাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে থাকছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেপ্তার হলে মূল ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই ব্যবসায় নিয়োজিত করান।
এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে। এ মাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে গডফাদাররা সে সব লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদেরকে হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২ নং রেল গেইট এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা হলো- ইমরান,দিপু, ফকির চানের ছেলে – নয়ন,অসত, ফর্মা উজ্জ্বল, পুতুল,শাহিন,ঈমান সহ আরো অনেকে।
এ ব্যাপারে মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে তারা সকাল নারায়ণগঞ্জ কে জানান, এই বিষয়ে তারা অবগত ছিল না কিন্তু এখন যেহেতু জানতে পেরেছে যথাযথা ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।