নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়েরকৃত নাশকতার মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সহিদুর রহমান স্বপনসহ ১৫ বিএনপি নেতাকর্মী।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ও আমিনুল ইসলামের যৌথ বেঞ্চ এই ১৫ জনের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন প্রাপ্তরা হলেন শহিদুর রহমান স্বপন, শহীদ সরকার, সানোয়ার হোসেন, শরীফ, আওলাদ, ফারুক, জালাল, ফরহাদ শিকদার, সালাউদ্দিন সালু, জাকারিয়া ভূঁইয়া, শফি মেম্বার, নূর ইয়াসিন নোবেল, সোহেল, মোক্তার হোসেন ও আবুল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির ১১৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ- পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদের ভুঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব কমিশনার, সোনারগাঁ থানা যুবদলের আহবায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ ভুঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন সালু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব, সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া ভুঁইয়া, সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি ফরহাদ সিকদার, সদস্য সচিব তানভীর, বিএনপি নেতা মামুন, আমিনুল ইসলাম, সফি মেম্বার, নূরে ইয়ামিন নোবেল, সোহেল, মোক্তার হোসেন, আবুল হোসেন, মনির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, মুছা মিয়া, আজিজুল্লাহ, শহিদ সরকার, সানোয়ার হোসেন, রউফ প্রধান, শরিফ, কবির, কামাল হোসেন, লাতিফ, নেহাল উদ্দিন, মোকলেছ, শাহালম, তাজুল ইসলাম সরকার, আব্দুর রউফ, জয়নাল, আওলাদ, ফারুক, জালালসহ অজ্ঞাত ৮০ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট সাদিপুর এলাকায় বিএনপি জামায়াতের ৭০-৮০ জন মশাল, লোহার রড, হকিস্টিক, রড, লাঠি, দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়।
তারা এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে আতংক ও ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় ৩/৪ টি গাড়ি ভাংচুর করে তারা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ টুকরা লাল কসটেপ মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, ২ টি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত ৭টি পোড়া লাঠি, ৮ টুকরা ভাঙ্গা কাঁচ।