নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের সেকেরহাট এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় সহোদর ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। এসময় তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতের বোন মাহমুদা আক্তার ময়না রাতে বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের সেকেরহাট গ্রামের ফজলুল হক ভূইয়ার ছেলে খলিলুর রহমান শ্যামলের সাথে হাফেজ মাওলানা মাসুদুর রহমান ভূইয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত রোববার বিকেলে তাদের কথাকাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে শামীম, সোহাগ, পনির ও রাসেল দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড নিয়ে মাওলানা মাসুদুর রহমানের সেকেরহাট চৌরাস্তা এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এসময় মাওলানা মাসুদুর রহমানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
মাসুদুর রহমানের ডাক চিৎকারে তার বড় ভাই হাবিবুর রহমান বাদল এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে মাসুদুর রহমানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে।
আহত মাসুদুর রহমানের বোন মাহমুদা আক্তার ময়না জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামালা থাকা অবস্থায় তাদের জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে খলিলুর রহমান শ্যামল। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর করে দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত কওে শ্যামল ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী।
অভিযুক্ত খলিলুর রহমান শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার জমি দখল করে রেখেছে সাসুদ ও বাদল গংরা। প্রতিবাদ করার কারনে আমার উপর হামলা করে। আমিও আহত হয়েছি। থানায় তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা দায়ের করেছি।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাদের ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষের মামলা রুজু হয়েছে। অপর পক্ষ একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।