বাংলাদেশের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ গ্ণ মানুষের নেতা জনাব এ.কে.এম.শামীম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের কাহিনী সত্যিই কৌতূহলোদ্দীপক।
এ.কে.এম.শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের একজন সুপরিচিত বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য।
প্রকৃতপক্ষে, তিনি একজন চমৎকার রাজনৈতিক বক্তা এবং নারায়ণগঞ্জে তার যথেষ্ট সংখ্যক সমর্থক রয়েছে।বিভিন্ন ক্ষেএে তাঁর রাজনৈতিক বক্তৃতা বাংলাদেশের মিডিয়া এবং জনসাধারণের ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষন করে।শামীম ওসমানের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বক্তব্য খেলা হবে।
শামীম ওসমান ১৯৬১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের উত্তর চাষাঢ়ায় রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার দাদা এম ওসমান আলী তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
তার বাবা এ.কে.এম শামসুজ্জোহা তিনি বাংলাদেশের একজন মহান রাজনীতিবিদ এবং ১৯৭০ সালের পাকিস্তানি আইনসভা এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন।
বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ওসমান আলীর বড় ছেলে এ কে এম শামসুজ্জোহা রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি রাজনীতিতে প্রথম সারিতে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
তার মা নাগিনা জোহা একজন গৃহিণী।
শামীম ওসমানের দুই ভাই, নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ হিসেবে সংসদ সদস্য ছিলেন এবং সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ এবং নারায়ণগঞ্জের সাংসদ।
তার স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান। এই দুই দম্পতির দুই জন সন্তান। ছেলে অয়ন ওসমান, মেয়ে অঙ্গনা ওসমান।
শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং আইন ডিগ্রি লাভ করেন।
শামীম ওসমান ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে সংসদ সদস্য হয়ে সরকারী রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি ভারত ও কানাডায় নির্বাসিত হন যখন ২০০১ সালের সাধারন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে যায়। প্রায় আট বছর নির্বাসনে থাকার পর,২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসেন।
তিনি ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র নির্বাচনে সেলিনা হায়াত আইভীর কাছে পরাজিত হন। তবে,২০১৪ সালের সাধারন নির্বাচনে,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে নির্বাচিত করার জন্য বেছে নেয়,নারায়ণগঞ্জ -৪ সভাপতি কবরী সারোয়ারকে বাদ দিয়ে।