নারায়ণগঞ্জ শহরের বিনোদন হোক কিংবা সমাগমের কেন্দ্রবিন্দু বলতে বোঝায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শহর ও শহরতলীর যেকোন প্রান্তর থেকে এখানে লোকজন এসে জড়ো হয়। বিশেষ করে শহরের ভেতরে উন্মুক্ত স্থান তেমন একটি না থাকায় এই শহীদ মিনারে সকাল থেকে লোকসমাগম দেখা যায়। বিগত দিনে সাধারণত সংস্কৃতি কর্মীদের আড্ডাস্থল ছিল এই শহীদ মিনার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কৃতিকর্মীদের স্থান দখল করে নিয়েছে বখাটে কিশোর গ্যাং, ছিনতাইকারী চক্র ও ভাসমান পতিতারা।
সরেজমিনে দেখা যায় একদল কিশোর গ্রুপ রাত ১০ টার পর হাতে মোবাইল ফন এবং মুখে সিগারেট নিয়ে অনায়াসে আড্ডা দিয়েই চলেছে।
এইসকল স্কুল এবং কলেজ পড়োয়া কিশোর এইরকম আড্ডা দিতে দিতে এক সময় গ্যাং তৈরি করে ফেলে এবং এক সময় হত্যাকান্ডের মত ভয়ংকর ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন।
এছাড়াও চাষাড়া গোল চত্বরে কিছু কিশোরকে বসে থাকতে দেখা যায় যারা নাকি সব সময় নেশা অবস্থায় চুরি চামারি করে বেড়ান। চাষাড়া দিয়ে মুরগি গাড়ি কিংবা চালের গাড়ি দেখলেই তারা সেগুলো থেকে মুরগি ও চালের বস্তা চুরি করেন। এমনকি রাতের আধারে এরা ছিনতায়ের মত কান্ড ঘটিয়ে থাকেন।
শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্র। চাষাঢ়া শহীদ মিনার ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকেই আনাগোনা থাকে ছিনতাইকারী চক্রের। প্রায়শই সাধারণ নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে মোবাইল ও টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী চক্র। এছাড়া প্রায়ই কিশোর গ্যাংদের মধ্যেও হাতাহাতি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
পূর্বে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশের একটি টিমকে অবস্থান করতে দেখা যেতো কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শহীদ মিনারে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়না।