ফতুল্লার ইসদাইরে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মামুন (২২) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। এ সময় আহত হয় নুরনবী (২১) নামক অপর এক যুবক। নিহত মামুন ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার প্রফেসারের ভাড়াটিয়া বাবুল। আহত নুরনবী টাগারপাড় হক বাজার এলাকার মান্নান মিয়ার পুত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটায় ফতুল্লা মডেল থানার ইসদাইর স্টেডিয়াম সংলগ্ন নুর ডাইংয়ের পেছনের মাঠে।
নিহতের বন্ধু শফিকুল জানায়, বিকেল চারটার দিকে তাকে ফোন করে নিহত শফিকুল। ফোন করে তার বাসার পেছনে আসে নিহত মামুন। পরক্ষনেই আসে নিহত মামুনের বন্ধু আহত নুরনবী।
এর কিছুক্ষন পরেই সাইফুল, পায়েল, জয় সাদসহ ১০-১৫ জন মামুন এবং নুরনবীকে পেয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে দুজনই মারাত্নক আহত হয়। তাদের কে উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে মারা যায় মামুন। আশংকাজনকবস্থায় নুরনবীকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
তিনি আরও জানান, কোরবানী ঈদের পূর্বে বড় ভাই এবং ছোট ভাই নিয়ে মারামারি হয় সাইফুল গ্রুপের সাথে। সে সময় তা স্থানীয় বড় ভাইয়েরা মিমাংসা করে দেয়। আজ বিকেলেও নুরনবীর সাথে এদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
আহত নুরনবী জানান, ইসদাইর বাজারের পেছনের একটি মাঠে হামলাকারীরা গাঁজা সেবন করতো। আজ বিকেলে তা নিয়ে তাদের কে বকাঝকা করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেয় নিহত মামুন। এনিয়ে সাইফুল-পায়েল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা মামুন ও তাকে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে।
নিহতের বোন জামাই মো. হোসেন জানান, নিহত মামুন বিবাহিত। দেড় বছর পূর্বে বিয়ে করে। একটি সন্তান ও হয়েছিলো। দু মাস পূর্বে সন্তান মারা যায়। সে গাড়ীতে বিভিন্ন দোকানে বিস্কুট, চানাচুর সরবারাহের কাজ করতো।নিহতের বাবা ভ্যান চালক।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কি কারনে হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে তিনি জানান।