ব্যস্ততম নাগরিক জীবনে এখন আরেক শঙ্কার নাম মাদক। সন্ধ্যার পর মেট্রোহল ট্রাফিক পুলিশের অফিসের সামনে চায়ের দুকানের আড়ালে এবং লেগুন স্ট্যান্ড তৈরি করে দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ মাদক কারবারিদের উপস্থিতি। আর কর্মব্যস্ত দিন শেষে সেখানে হাজিরও হয় নানা শ্রেণি-পেশার মাদকসেবীরা।
নারী-শিশু সবার সামনেই চলে অবাধে মাদক কেনাবেচা; যা সমাজ ও নাগরিক জীবনে প্রভাব ফেলে।
বিশেষ করে কৌতূহলী শিশুমনে মাদকের প্রভাব ভয়াবহভাবে পড়ছে। শিশুদের খুব সহজেই মাদকে আসক্ত হওয়ার আশঙ্কা এড়ানোর সুযোগ নেই। পথ চলতে দেখা যায় একদিকে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করছে, অন্যদিকে মাদকসেবী ছিন্নমূল শিশুরা মাদক সেবন করছে।
উঠতি বয়সী যুবকরা বিশেষ করে স্কুল কলেজগামী ছেলেরা এ মরণ নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। কৌতূহল, পারিবারিক অশান্তি, বেকারত্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, বন্ধুদের প্রচরণা, অসৎ সঙ্গ, নানা রকম হতাশা ও আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। যারা নেশা করে তারা জানে নেশা কোনো উপকারী বা ভালো কাজ নয়। এটি মানুষের জীবনীশক্তি নষ্ট করে দেয়।
সমবয়সী শিশুদের এই বিপরীত জীবনধারা ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আবার দেখা যায়, রাতে বাড়ি ফেরার পথে এই মাদকসেবীদের হাতেই ছিনতাই ও হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। এতে বলাই যায় মেট্রোহল এলাকার নিরাপত্তার প্রধান হুমকি এই মাদক ও মাদকসেবী। এই নিরাপত্তা হুমকি থেকে পরিত্রাণের জন্য অভিভাবকদের সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি এবং এই সচেতনতা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাদকমুক্ত সমাজ নির্মাণে প্রভাবিত করবে বলে আশা করি।