সকাল নারায়ানগঞ্জঃ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আড়াইহাজারে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় চালকসহ চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার উদয়দী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, বালিয়াপাড়া এলাকার হামিদের ছেলে রবিন, উদয়দী এলাকার লোকমান হোসেন, তার বোন মাহমুদা ও তার স্বামী।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হাইজাদী ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেনকে এ ঘটনায় দায়ি করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমীর হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। মাটি কাটার ড্রেজার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই গাড়ীতে হামলা চালানো হয়েছে। একাংশের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
গাড়ীর মালিক বিল্পব বলেন,
তিনি অভিযোগ করেন, আমি জুনায়েদ ভূঁইয়া প্রিন্সের সঙ্গে রাজনীতি করি। ঢাকা-মেট্রো-চ-১৯-৫৩৬৪ নাম্বারের হাইয়েস গাড়ীটি যাত্রী নিয়ে শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। স্থানীয় উদয়দী বাজারে পৌঁছলে একদল লোক হামলা চালায়।হামলাকারীরা তার প্রতিপক্ষ হাইজাদী ইউপির চেয়ারম্যান আলী হোসেনের লোক। তার হুকুমেই আমার গাড়ীতে তারা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।
অপরদিকে হাইজাদী ইউপির চেয়ারম্যানপ্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া ছেলে জুনায়েদ ভূঁইয়া প্রিন্স বলেন, গাড়ীর মালিক বিল্পব আমার সাথে রাজনীতি করছে। এ কারণেই আধিপত্য বিস্তার করতে আলী হোসেন চেয়ারম্যানের লোকজন তার হুকুমে গাড়ীতে হামলা চালায়।
তবে হামলার এই অভিযোগ অস্বীকার নুরজামাল বলেন, আমি বা আমাদের কেউ কারোর ওপর হামলা করেনি। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
হাইজাদী ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন বলেন, আমার সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি কারোর ওপর হামলা করার জন্য কাউকেই হুকুম দেয়নি। যদি কেউ হামলা করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।