নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুলকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) মো. সোহেল নামের ছাত্রলীগ নেতা বাদী হয়ে বন্দর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৬ তাং- ১৯/১১/২২, ধারা- ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন তৎসহ ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/৩২৩/৩৭৯/৪৩৬/১১৪/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড – ১৮৬০।
এর আগে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার ২নং আসামী বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর মুহাম্মদ পনেছ (৫২), ৩নং আসামী সজিব হোসেন (৩৩), ৫নং আসামী আজিজুল হক রাজিব (৪৪) ও ৬নং আসামী হুমায়ূন কবির বুলবুল (৫০)’কে গ্রেপ্তার করে ৭ দেনের রিমান্ড প্রার্থনা করে গতকাল দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলায় মুকুল ছাড়াও মুকুলের ভাই মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান দুলালসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি সোহেলকে মারধর, মোবাইল লুট ও ৫০ হাজার টাকা লুটের নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, মামলা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এই বিষয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘আমাদের কি সাহস আছে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করবো? এটা কেউ বিশ্বাস করবে? ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের উপর দোষ দেয়। আমাদের নামে মামলা দেয়ার জন্যেই এই কাজ করে। সারাদেশেই ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও করে বিএনপির নামে দোষ দেয়া হচ্ছে। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আসামী করা হয়েছে আমাদের।
এর আগে শুক্রবার ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. আঙ্গুর গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে বন্দর কবিলামোড়ে প্রধান সড়কের পাশে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়ে রিক্সাযোগে তিনজন মুখোশধারী প্রবেশ করে। তারা কার্যালয়ে থাকা চেয়ার ভাঙ্গে ও দলীয় ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এ সংবাদে এলাকা কয়েকজন এগিয়ে আসলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।