নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। ১৮ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল ১৮ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন পাড়াগাও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ভিকটিম ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার পাড়াগাঁও এলাকার মৃত হাসান আলী এর ছেলে আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, গত ১০ নভেম্বর অত্র মামলার ভিকটিম রূপগঞ্জ থানার লাভরাপাড়া এলাকায় তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরবর্তীতে একই দিন ভিকটিমের ফুফার বন্ধুর সাথে গাউছিয়া এলাকায় বেড়াতে যায়। বেড়ানো শেষে একই তারিখ রাত পৌনে ৯টার দিকে রিক্সা যোগে ভিকটিমের ফুফুর বাড়িতে ফেরার পথে রূপগঞ্জ থানার পাবই এলাকায় অবস্থিত এসকেএফ ঔষধ কোম্পানির সামনে পৌছলে এজাহারনামীয় আসামিরা রিকশা থামিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে রূপগঞ্জ থানার ঠাকুর বাড়িরটেক সিম গার্মেন্টস এর দক্ষিণ পাশে ড্রেজার ঘরের মধ্যে নিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সেসময় ভিকটিমের ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এই কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৫০ তারিখ ১৮ নভেম্বরর ২০২২। উক্ত ধর্ষণের পর হতে এজাহারনামীয় আসামীরা কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ধর্ষণ মামলা হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যেই এজাহারভূক্ত পলাতক আসামী আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী বর্ণিত ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য রূপগঞ্জ থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।