পুরো নারায়নগঞ্জ শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিক্সা। অলিগলি থেকে শুরু করে মূল রাস্তাতে এসব রিকশার দাপট থাকলেও নিষিদ্ধ এ বাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপটের পেছনে রয়েছে নীরব চাঁদাবাজি। প্রতি মাসে এসব রিকশা থেকে কোটি কোটি চাঁদাবাজি হচ্ছে। বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে স্থানীয় নেতা ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা।
সূত্রমতে, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বরং দিন দিন এগুলোর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে যানজট, ভোগান্তি। এমনকি চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।
জানা যায়, যানজটের নগরী নারায়ণগঞ্জের ব্যস্ততম রাস্তা দখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (অটোরিকশা) ও ফিটনেসবিহীন লেগুনার স্ট্যান্ড। ফলে তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। অপরদিকে এসব যানবাহনকে পুঁজি করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ প্রতিনিয়ত ১৫০-২০০ মিশুক ও অটোরিক্সা আটক করলেও এর বেশিরভাগ গাড়ি স্টিকার লাগানো দেখার পর ছেড়ে দিচ্ছে।
ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ শহিদুল,শফিকুল,হাসান,বাশার প্রতিদিন ১০০-১৫০ গাড়ি আটক করলেও এই বিল যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানাতে রাজি হন না।
ভুক্তভোগী মিশুক চালকদের দাবি,স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখলে পুলিশ সকল গাড়ি ছেড়ে দিলেও তারা আমাদের ১০০-২০০ কম থাকলেও গাড়ি ছাড়ছেনা ট্রাফিক পুলিশ।স্টিকার লাগানো গাড়ি ছেড়ে দিলে আমাদের গাড়িও হাফ বিলে ছাড়তে হবে।