নারায়ণগঞ্জ সদরের কিল্লারপুল এলাকায় জমে উঠেছে অবৈধ মেলা। এ মেলাকে ঘিরে মানুষের ভোগান্তির কমতি নেই। অভিযোগ রয়েছে কিল্লারপুল এলাকায় অনুমোদনহীন এ মেলা পরিচালনা করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও নামধারী রাজনৈতিক নেতারা। বিনোদনের নামে জেলা প্রশাসনকে অবজ্ঞা করে অনুমতি ছাড়াই থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে দৈনিক লক্ষাধিক টাকার টার্গেট নিয়ে বসানো হয়েছে মেলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেলায় উচ্চ শব্দের কারণে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মেলা বসিয়ে বিক্রেতাদের সাথে রাতে জুয়ার আড্ডা বসে সাথে মাদক কেনা বেচার আসরও বসানো হয়। এছাড়াও স্থানীয় নারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
মেলাকে ঘিরে সন্ধ্যার পর জমে উঠে মাদক বেচা কিনা। কিশোর গ্যাং, মাদকসেবী ও বখাটেদের উশৃঙ্খলাতায় বিব্রত হচ্ছে মেলায় আগন্ত নারী ও পথচারীরা।
সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করার জন্য মার্কেট,বিপনি-বিতান,দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও কিভাবে এই মেলা চলছে।
উচ্চস্বরে মাইকে অশ্লীল গানবাজনা ও হইহুল্লায় শিক্ষার্থীসহ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
মেলার সুযোগ নিয়ে দেদারছে মাদক বেচা কিনা হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। দৈনিক লক্ষাধিক টাকার টার্গেট নিয়ে বসানো হয়েছে এই মেলা। মেলার আয় থেকে দৈনিক মোটা টাকা ভাগবন্টন হচ্ছে ক্যাডার বাহিনী ও মেলার আয়োজকদের মধ্যে।
কিল্লারপুল এলাকার মাজারে বাৎসরিক ওরস পালন করা হলেও ভিতরে ছালা ঘেরাও দিয়ে চলছে উন্মুক্ত গাজা বিক্রি এবং সেবন এতে এলাকার যুবসমাজ ধংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এব্যাপারে সদর থানায় মোবাইল করে জানানো হলে ঘটনাস্থলে এ.এস.আই খালেক উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের জানান,তাদের মেলার অনুমতি দেয়া হয়েছে কিন্ত মেলায় মাদক বিক্রির ব্যাপারে তাদের ব্যবস্থা নেয়ার কোন অনুমতি নেই।এব্যাপারে থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন।ওসি যদি তাদের অনুমতি দেন তাহলে তারা ব্যবস্থা গ্রহন করবে।