১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় কোনোভাবেই চোরদের দৌরাত্ম থামানো যাচ্ছে না। চোরেরা যেন চুরির অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে এই ওয়ার্ডকে। গবাদিপশু, দোকানের মালামাল, অটোরিকশা, শ্যালোমেশিন, মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার,ক্যামেরা,নগদ টাকা,সাইকেল,রড,বালু,সিমেন্ট কোনোকিছুই ছাড়ছে না চোরের দল। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ করা হলেও কোনোভাবেই চোরের উপদ্রব না থামায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
১২নং ওয়ার্ডে চোরের হাতে মাল আর ছিনতাইকারীর হাতে জান— সোপর্দ করেই যেন বর্তমান সময়ে চলতে হচ্ছে রাস্তায়, থাকতে হচ্ছে বাসায়। নিরাপত্তার বিষয়টিও যেন হয়ে উঠেছে দুষ্কর। তবে বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনাটিই সম্প্রতি বেড়ে গেছে উদ্বেগজনক হারে এবং এটিই এখন নাগরিকদের আতঙ্কের কারণ।
এখনকার চোরদের নজর দামি আসবাবপত্রের দিকে। যেনতেনভাবে নয়, এই ক্যাটেগরিতে চুরির ঘটনা বাড়ছে হু হু করেই। কম্পিউটার, সিলিং ফ্যান, মোবাইল, ব্লেন্ডার, স্বর্ণের গয়না, নগদ টাকা এসবের দিকেই এখন নজর বেশি। কেন হঠাৎ আশি-নব্বইয়ের দশকের আদলে চুরির ঘটনা বাড়ছে তার উত্তরে সুশীল সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ কিংবা অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটের যে প্রেক্ষাপটে রয়েছে দেশ, তার প্রভাবেই এসব ঘটনা বাড়ছে। আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও করছেন তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক তদারকি ও টহল না থাকায় অহরহ চুরির ঘটনা ঘটছে এলাকা জুড়ে।পুলিশের সঠিক তদারকি না থাকা এবং ১২ নং ওয়ার্ড এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও নামধারী রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশে চুরি করে পার পেয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। মূল্যবান সম্পদ এবং আয়ের উৎস হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকে। এই সংঘবদ্ধ চোরদের কাছ থেকে রক্ষা পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, আমরা এখন অনেক ভয়ে থাকি কখন সবকিছু চুরি হয়ে যায়। অতি দ্রুত এই সংঘবদ্ধ চোরদের গ্রেফতার করা না হলে চুরি থামবে না। তাদের অভিযোগ, চুরির পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর আর খোঁজ থাকে না। সাধারণ মানুষ হিসেবে আর কী করার আছে আমাদের? নিজেরা চুরি যাওয়া মালের সন্ধান করে এক সময় থেমে যেতে হয়।