দিনে অথবা রাতে বিশেষ কায়দায় সুযোগ মত গ্রীল কেটে বা তালা ভেঙ্গে চোরেরা বাসাবাড়ি, মসজিদ, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে মানুষকে সর্বশান্ত করছে। চোরদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা বিদ্যুতের তার, ঘটি-বাটি,টিউবঅয়েল,মল যাওয়ার পাইপ,হাসপাতাল এমনকি মসজিদের দান বাক্সের টাকাও। নারায়ণগঞ্জ শহরে ইদানীং একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে।
তবে এসমস্ত চুরির ঘটনা অধিকাংশ পুলিশকে জানানো হয় না। ভুক্তভোগীরা জানান, থানায় চুরির মামলা করতে গিয়ে উল্টো নানা উটকো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সে কারণে এর সঠিক পরিসংখ্যানও পাওয়া যায়না। কিন্ত প্রায় প্রতিদিন শহরের কোথাও না কোথাও চুরি সংগঠিত হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। চোরের অত্যাচারে সাধারণ নাগরিকরা অতিষ্ট হয়ে ওঠেছেন। শহরে মাদকসেবীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটছে এবং মাদকসেবীরাই এসব চুরির সাথে জড়িত বলে শহরবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। শহরের চুরি ও মাদক বন্ধে তারা পুলিশের নিকট বিশেষ অভিযান পরিচালনারও দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনই শহরের কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইদানিং শহরের বেশ কিছু এলাকার হেরোইন ও মাদক সেবীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। শহরবাসীর ধারণা, মাদকসেবীরাই এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। এলাকার কিছু চোরের শেল্টারদাতাদের ভয়ে সাধারন মানুষ থানায় অভিযোগ করতে ভয় পান ও সুষ্ঠুভাবে বিচার পান না।
সারা নারায়ণগঞ্জ জুড়ে যেন চুরির উৎসব চলছে। সম্প্রতি চোরের উপদ্রপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, চোর এবং মাদকসেবীদের ধরতে পুলিশী অভিযান চলছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, নেশাসেবী এসব চোরদের ধরলে আইনের ফাঁকে ক‘দিনের মধ্যে জামিনে বের হয়ে আবার সেই পুরনো ব্যবসায় ঢুকে পড়ে।