দফায় দফায় অভিযান চললেও বন্ধ হয় না জুয়ার আসর নগরীতে মাদকের সাথে তালমিলিয়ে চলছে বড় শাহজাহানের নিষিদ্ধ ছোট-বড় জুয়ার আসর। যা ভয়ানক মাদকের চেয়েও শক্তিশালী রুপ নিয়েছে। অপরদিকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জনমনে।
জানা গেছে, সারাদিনের উপার্জিত টাকা খেলায় খুইয়ে ওই এলাকায় বসবাসকারীদের অনেকের সংসারে বেড়েছে কলহ। ভয়ালগ্রাসী এ খেলা বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় অভিযান চালানো হলেও খেলা বরাবরেই চলমান রয়েছে; অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অপরদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা মুখ খুললেও নিজেদের নাম প্রকাশে করছে আপত্তি। তারা মনে করছেন, নাম প্রকাশ হলে তাদেরকে পড়তে হতে পারে শাহজাহানের রোষানলে ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শহরের কালিরবাজার,ভূইঘর,জালকুড়ি,ইসদাইর,৫নং মাছ ঘাট,আলীগঞ্জ,জিমখানা কাঠের দু’তলা সহ কয়েকটি এলাকায় চলছে শাহজাহানের জুয়ার আসর। দিনে খেলোয়াড়দের তেমন আনাগোনা না থাকলে সন্ধ্যার পর খেলা জমে ওঠে। পুরো খেলার বোর্ডটি নিয়ন্ত্রণ করে শাহজাহানের বিশস্ত কর্মচারি বিএনপির কথিত নেতা মাসুম।
শাহজাহানের বিশ্বস্ত মাসুম নামের একজন সব কিছু দেখভাল করায় তাকে কোনো বিষয়ে টেনশন নিতে হয় না। এক কথায় বলা চলে,শাহজাহান জুয়ার আসরের মালিক হলেও হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে সবকিছুর মূলকাণ্ডারী মাসুম। যিনি (মাসুম)থাকেন সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
প্রতিদিন দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কুখ্যাত জুয়াড়িরা এসে সমবেত হয়। তারা হাজার টাকা থেকে লক্ষলক্ষ টাকার জুয়া খেলায় মেতে উঠেন। অনেকে ওই জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ার কথা বললে জুয়াড়িরা ঘুষ দিবে বলে অফার দেয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবিদের মধ্যে জুয়া আসক্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। দিন রাত প্রতিনিয়ত জুয়া খেলার রমমরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে জুয়াড়ি শাহজাহান। এতে করে বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমাজে। নষ্টের পথে পা বাড়াচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষসহ তরুন প্রজন্ম।
পুলিশ জুয়ার আসরে অভিযান পরিচালনা করলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গিয়ে ভাসমানভাবে জুয়ার আসর পরিচালনা করেন জুয়ারী শাহজাহান।