সম্প্রতি পুরো জেলায় বেড়েছে ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের উৎপাত। এরা বর্তমানে সংবদ্ধ হয়ে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করছেন। এরা মাঝে মধ্যেই ছোট কোনো বিষয়ে গোলাগুলি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা চালায়। বিষয়টি জটির হলে খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না তারা।
তাছাড়া চুরি, ছিনতাই তো এসব ছিঁচকে সন্ত্রসের নিত্যদিনের অপরাধ। বিভিন্ন সূত্র বলছে, এসব ছিঁচকে সন্ত্রাস বাহিনীর সদস্যদের নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। এদের অনেকেরি পরিচয় নেই। এরা ভ্রাম্যমান অথবা ভাড়াটে হিসেবে অপরাধ করেন।
তর্থ্য বলছে, নতুন করে কিশোর গ্যাং’এর বড় ভূমিকা পালন করছেন এলাকার ছিঁচকে সন্ত্রাসরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শহর ও আশপাশের এলাকা গুলোতে সক্রিয় এমন বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৩০টির বেশি। তাছাড়া পুরো জেলার হিসেবে এমন ছিঁচকে সন্ত্রাসের সংখ্যা ২’শ এর বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জেলার রেল-স্টেশনের আশপাশের এলাকা গুলোতে দেখা যায়।
এসব ছিঁচকে সন্ত্রাস বাহিনীর সদস্যদের নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। এদের অনেকেরি পরিচয় নেই। এমনকি কোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর তাদের সঠিক নাম পর্যন্ত জানা সম্ভব হয় না। আর তাই মামলা থেকে বাদ পরেন এসব পরিচয় ছাড়া ছিঁচকে সন্ত্রাসরা। সূত্র বলছে, এসব ছিঁচকে সন্ত্রারা বেশিই ভাগ সময় ফ্ল্যাটবাড়ি, আবাসিক এলাকা, শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিনব কায়দায় চুরি করে থাকেন। তাছাড়া রাস্তায় ছিনতায়ের ঘটনাও কম নয়। তার প্রথমে র্টগেট করেন বিভিন্ন শিল্প-কারখানার শ্রমিক, দুরপাল্লার পরিবহনে আশা যাত্রীদের।
পরে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লুটে নেন সব কিছু। অনুসন্ধান বলছে, জেলার ৭টি থানার প্রতিটি থানায় বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা। পূর্বের বছর গুলোর তুলনায় বর্তমান সময়ে রহস্যজনক ভাবেই ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। ফলে দিনদিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি এলাকার সাধারন জনজীবনের ধারাবাহিকতা। তাছাড়া রাত যতই গভীর হয়, সড়ক-মহাসড়কে ওঁৎ পেতে থাকে এসব ছিঁচকে ছিনতাইকারিরা। পথচারীর পাশাপাশি এসব ছিনতাইকারীদের টার্গেট মালবাহী পরিবহনের ওপর।
সুযোগ বুঝে এরা অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে নেয় টাকা-পয়সা। এছাড়াও বসত বাড়িতে চুরি করতে দিন দিন আরও কৌশলি হয়ে উঠেছে এসব ছিঁচকে চোরেরা। আর সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য হচ্ছে এসব ভ্রাম্যমান ছিঁচকে সন্ত্রাসরা এখন এলাকার কিশোরদের সাথে মিশে গ্যাং তৈরি করছে। পরে পান থেকে চুন খসালেই দেশিও অস্ত্র হাতে এলাকায় শো ডাউন করেন। মাঝে মধ্যেই এলাকায় আধিপত্ত বিস্তার, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধকে কেন্দ্র করে ঘটছে খুনের মতো ঘটনা। আর এসব খুন সেইসব ছিঁচকে সন্ত্রাসরা করে থকেন বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়।
পরে মামলায় পরিচয় না থাকার অভাবে বাদ পরেন প্রকৃত এসব অপরাধিরা। সচেতন মহলের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজে অপরাধ করার মাধ্যম গুলোর অন্যতম একটি ভাইরাস এসব ছিঁচকে সন্ত্রাস বাহিনী। এরা সব সময়ই আইনের ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যান। আর তাই অপরাধ যেন তাদের কাছে গেইম খেলার মতো হয়ে গেছে। তাদের মতে, আইণ-সৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এসব ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। নয়তো সামাজে চলমান নৃত্যদিনের অপরাধ কোনো ভাবেই ঠেকানো সম্ভব নয়।