শহরের চাষাড়ায় এবার ছিনতাইকারীর কবলে পরে প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবক। চাষাড়ার আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার ও রেল লাইনের পাশে থেকে জয়নুর রহমান জনি (২৪) নামের এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর এলাকার লাল্টু মিয়ার ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্প নগরী এলাকার ফেইম অ্যাপারেল লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনি কুষ্টিয়া থেকে রাতের বাসে নারায়ণগঞ্জে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। শহরের চাষাঢ়া এলাকায় বাস থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পথে মহিলা কলেজের সামনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা।
চাষাঢ়া রেললাইনের গেটম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে ডিউটির জন্য চাষাঢ়ায় এসে দেখি রেললাইনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় নিহত যুবকের মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
এমন ঘটনায় সকাল থেকেই পুরো নগরীতে নানাভাবে সমালোচনা ঝড় উঠেছে । অনেকেই বলেছেন, একটা মানুষ এই সাত সকালে খুন হয়েছে তা বারবার এসে দেখে যাচ্ছে রেল পুলিশ ও থানা পুলিশ। লাশ দীর্ঘক্ষন পরে থাকায় সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রেল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলো । আর এতোক্ষন এই লাশ দেখে দেখে সকলেই যেন যার যার দায়িত্ব এড়ালো। এই নগরীর কয়েকটি স্পটে ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্যই নানা অপকর্ম করছে । অথচ আইনশৃংখলা বাহিনী যেন দেখেও না দেখার অভিনয় করছে । যা আশ্চর্যজনক ।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান, নিহতের মরদেহ রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যেহেতু মরদেহটি রেললাইনের পাশে পড়েছিল। নিহতের তলপেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। সে রাতের বাসে নারায়ণগঞ্জ আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে ভোরে বাস থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা।
এমন ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সাইদুজ্জামান বলেন, যেহেতু মরদেহ রেলরাইনের পাশে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেহেতু এই ঘটনা রেল পুলিশ তদন্ত করবে । তাই নিহতের লাশ রেল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য এই সড়কে অসংখ্য ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতংকে থাকে এলাকাবাসী । সম্প্রতি ডিবি পুলিশের একজন সদস্যও ছিনতাইকারীদের কবরে পরে সর্বস্ব খুইয়ে প্রাণে রক্ষা পান । পরে পুলিশ সাড়াসী অভিযান চালিয়ে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ছিনতাইকারদের গ্রেফতার করে ।