নারায়ণগঞ্জে আলীরটেক এলাকার শিশু খাদিজা আক্তার (১০) গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত।
ঘটনার ১৫ বছর বিচারাধীনের পর ০৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার সোমবার ১২ টায় ০৪ জনকে ফাসির রায় দেন বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক এলাকার আলী আকবরের মেয়ে খাদিজা আক্তারের ধর্ষণ ও হত্যা কান্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, সুজন, আলামিন, আবুল কালাম, শাহাদাত।
আদালত কতৃক রায় ঘোষণাকালে চার আসামীর কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক।
এ ঘটনায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। নিহতের ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়েছিলো।
২০০৩ সালের ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আলীরটেক এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় আসামীরা। খাদিজাকে ডেকে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি সরিষা খেতে ধর্ষণের পর তাঁকে হত্যা করে ফেলে যায়। পরদিন সকালে খাদিজার লাশ খুঁজে পায় স্বজনেরা।
এ ঘটনায় খাদিজার বড় ভাই আনসার আলী বাদী হয়ে ওই চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। বিগত ১৫ বছরেও তাঁদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেকস্থ এক সরিষা ক্ষেতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ১০ বছরের শিশু গণধর্ষণের পর হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফাঁসির কারাদন্ডে দন্ডিত প্রধান আসামী সুজন দীর্ঘ ১৯ বছর পলাতক থাকার পর।
গত ১১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানা হতে একটি অধিযাচনপত্রে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী সুজন মোঃ নিজামুল হক (৩৮)কে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১ কে অনুরোধ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বর্ণিত বিষয়ে র্যাব ১১ ছায়া তদন্ত ও নজরদারি শুরু করে গত ২৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখ রাতে ডিএমপি, ঢাকার বাড্ডা থানা এলাকা হতে সুজন মোঃ নিজামুল হক (৩৮), পিতাঃ আঃ রশিদ হারুন রশিদ নাসিরুল হক কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী তার অপরাধ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেছে বলে জানান র্যাব।
এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অন্য ০৩ আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।