আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততা আর রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ২নং রেল গেইট ও টানবাজার এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেছে অতিমাত্রায় বেপোরোয়া। কোন প্রকার রাখ ঢাক না রেখেই মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে বেচা কেনা করছে মাদক।
পুরো টানবাজার ও ২নং রেল গেইট এলাকায় মাদক হয়ে উঠেছে অতিমাত্রায় সহজলভ্য। হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, গাঁজা, হালের ক্রেজ খ্যাত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নানা জাতীয় মাদক দ্রব্য।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ভৌগোলিক অবস্থান, যোগাযোগব্যবস্থায় সুবিধাজনক দিক, শ্রমঘন এলাকা-সব মিলিয়ে টানবাজার ও ২নং রেল গেইট এলাকা বরাবরই মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেট পয়েন্ট।
২ নং রেল গেইট এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা হচ্ছে, ইমরান,দিপু,রুবেল এর ভাই নয়ন,অসত,ফর্মা উজ্জ্বল,শাহিন,ইমান,পুতুলি,দুলালি,বিল্লাল,তাছলি ও দুলালের মেয়ে অপর্না।
এছাড়া পুরো টানবাজার এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত রয়েছেন নুর ইসলাম শিবা যার ছত্রছায়ায় টানবাজার এলাকায় রয়েছে একটি মাদক সিন্ডিকেট।
রাজনৈতিক শেল্টার হয়ে উঠছে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান হাতিয়ার। অভিযোগ আছে, এই অঞ্চলের মূলধারার অনেক রাজনৈতিক নেতা সরাসরি মাদক ব্যবসায় শেল্টার দিয়ে থাকেন। এমনকি অনেকের পরিবারের সদস্যেরাও মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত।
কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের সঙ্গেও মাদকের পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিমত বিশিষ্টজনদের। তারা বলছেন, সুলভে মাদক দিয়েই উঠতি কিশোরদের গ্যাংয়ে ভিড়ানো হয়। একসময় মাদকের অর্থ জোগাতে সেইসব কিশোরেরা হয়ে উঠে মাদক ব্যবসায়ী। ব্যবসা ও আধিপত্য বজায় রাখতে সংঘাতেও জড়িয়ে পরতে দেখা যায় তাদের।