অবশেষে ভাগ্যের লড়াইয়ে জয়ী হলেন মজিবুর রহমান। ভোটের মাঠে সমানে সমান ভোট পেয়েছিলেন দুই প্রার্থী। কে জিতবে শেষ পর্যন্ত ? সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সোমবার দিনব্যাপি এমন প্রশ্ন ছিল সকলের মুখে মুখে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমান সমান ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজের উপস্থিতিতে দুই প্রার্থী মজিবুর রহমান ও মোঃ জাহাঙ্গির আলমের সামনে লটারির মাধ্যমে ফলাফর নিশ্চিত করেন। এ সময় লটারিতে নাম তোলেন এক স্কুল শিক্ষার্থী। সেখানে নাম আসে মজিবুর রহমানের।
মজিবুর রহমান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্টজন।
অপরদিকে মজিবুর রহমানের প্রতিপক্ষ মোঃ জাহাঙ্গির আলম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হয়াৎ আইভীর ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত।
এবারের নির্বাচনে ১টি চেয়ারম্যান পদ, ৫টি সাধারণ সমদ্য পদ ও ২টি সংরক্ষিত পদ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ গঠিত। চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদে দুজন বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। বাকি তিনটি সাধারণ সদস্য এবং দুটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে।
নির্বাচন কার্যালয় থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, ১ নম্বর ওয়ার্ডে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩৬ কাউন্সিলর ও মেয়রসহ মোট ৩৭ জন ভোটার। তাদের মাঝে ৩৫ জন ভোট প্রদান করেছেন। বাতিল হয়েছে একটি। জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমান ১৫টি করে ভোট পেয়েছেন। অপর দুই প্রার্থী মোঃ আলাউদ্দিন ও সায়েম রেজা পেয়েছেন যথাক্রমে ৩ ও ১ ভোট।
ফলাফল ঘোষনা অনুষ্ঠানে জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ূর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার আফরোজা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় এই ওয়ার্ডে মঙ্গলবার লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে বলে জানিয়ে ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার।