শহরে অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সার দৌরাত্ম্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ফলে যানযট হচ্ছে এবং প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে ক্ষুব্ধ সাধারন মানুষ। কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না এই অবৈধ যানবাহন।
এদিকে, শহর এলাকায় দিনে কিছুটা বন্ধ থাকলেও সন্ধ্যার পরই অবাধে চলাচল শুরু করে অটোরিক্সা। লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক কিভাবে শহরে অবৈধ যানবাহন চালায় তা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। রাতে এইসব অটোরিক্সায় চার্জ দেওয়ার কারণে বিদুৎ সংকট হওয়ার আশংকাও করছে সাধারণ মানুষ। এগুলো বন্ধ না করলে দিনদিন দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাবে।
২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা, নছিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক বা অনুরূপ যান চলাচল বন্ধ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সরকারের এই নির্দেশনা তোয়াক্কা না করেই খোঁদ প্রধান সড়কে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিক্সা।
নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৮০ হাজার অটোরিকশা বিদ্যুৎ চুরির অন্যতম উৎস বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। নারায়ণগঞ্জে আনাচে-কানাচে এসব অটোরিকশাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫০০এর বেশি অটো গ্যারেজ। এসব গ্যারেজে অবৈধ ও বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে নিয়মের বাইরে চার্জ দেওয়া হচ্ছে বিশালসংখ্যক অটোরিকশা। বিদ্যুতের কিছু লোক এসব অটো গ্যারেজ থেকে মাসিক উৎকোচ নিচ্ছে।
প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৮০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে ৫ থেকে ৬ ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৭ টাকা ধরে ১০ লাখ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে।
গাড়ি আটকের ব্যাপারে কথা বললে ট্রাফিক শহিদুল,শফিক,আবুল বাশার এবং হাসান জানান, আমরা ১০০ টা গাড়ি আটক করলে ৮০ টা গাড়ি সাংবাদিকের (কথিত) নাম বিক্রি করে ছুটে যায়।
আলম নামে এক মিশুক চালক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখলেই ছেড়ে দেয় শুধু স্টিকার ছাড়া গাড়িগুলা ধরে রেকারে নিয়ে যান।এতে ব্যাটারিচালিত মিশুক ও অটো রিক্সার চালকরা মাসিক করার পিছনে ছুটছে।
অবৈধ অটোরিকশাগুলোর জন্য সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। ফলে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। কেননা এসব অবৈধ অটেগাড়ি, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়িগুলোর নেই কোনো হর্ন, নেই ব্রেক ও গিয়ার।
প্রতিদিন কয়টা গাড়ি আটক করা হয় এবং কত টাকা সরকারিখাতে জমা হয় তার ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশ সাংবাদিকদের বলতে গড়িমসি প্রকাশ করে।
সরেজমিনে দেখা যায় রেকারে প্রতিটি ট্রাফিক পুলিশের ৭/৮ জন করে দালাল রয়েছে যারা নাকি রাস্তা থেকেই টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়।
পথচারীরা বলেন, ব্যালেন্স থাকে না। অনেক দ্রুত চলে। এরা অভিজ্ঞ নয়, বেপরোয়াভাবে চলে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশের যোগসাজশে প্রধান সড়কগুলোতে চলছে অটো রিক্সা।