সকাল নারায়ণগঞ্জ
শহরে তিন সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি সন্ত্রাসী সোয়াদ ওরফে সোহাগকে।অভিযোগ উঠেছে, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ গাফলতি করছে। আহত সাংবাদিক জামাল তালুকদার ও লিংকন সকল তথ্য দিয়ে পুলিশকে সর্বদাই সহযোগীতা করে যাচ্ছে।
এরপরও সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ।এদিকে ওই ঘটনার সময় সন্ত্রাসী সোয়াদকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে রাখলেও পরবর্তিতে অস্ত্রটি নদীর তীরে ফেলে দিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করে আওয়ামী লীগের কথিত নেতা আব্দুর রহমান।এছাড়াও ঘটনাস্থলেই সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে সেখান থেকে যেতে দেয়া হবে না বলেও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় ওই আওয়ামী লীগের ওই নামধারী নেতা আব্দুর রহমান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে তাকেও আলামত গুম সহ সন্ত্রাসীকে পালাতে সহযোগীতা করায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়।জানা গেছে, আব্দুর রহমানের মত অন্যান্য রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহারকারীরা সন্ত্রাসী সোয়াদকে দিয়ে নানা অপকর্ম করাতে। এম সার্কাস, হাজিগঞ্জ, নবীগঞ্জ, ঈশা খাঁ কেল্লা আশপাশে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, মারামারী সহ অধিপত্য বিস্তারে সোয়াদ অস্ত্র দিয়ে মানুষকে হামলা করে আহত করায় অভ্যস্ত।
জড়িত রয়েছে বিভিন্ন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে। মাদক বিক্রি ও সেবন সহ তার নৈরাজ্যের কাছে সাধারণ মানুষ আতংকিত ও অসহায়। এর আগেও তাকে বিভিন্ন অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করেও ছেড়ে দেয় বলে জানায় স্থানীয়রা।প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সোনারগাঁ যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন অগ্রবানী প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক জামাল তালুকদার, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ডটকম এর প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ সিফাত রহমান লিংকন ও জনতার কাগজের সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। এ ঘটনায় মূল আসামী সোয়াদ গ্রেফতার না হলেও জরিত আবদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।