দেশের উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নগরীর অলিগলি ও মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিক্সা,মিশুক ও অটো। পুলিশ বলছে, তারা ব্যাটারি মিশুক,রিক্সা ও অটোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ও একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে এই যান। নিষিদ্ধ এসব ব্যাটারিচালিত রিক্সার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। অপরদিকে, ব্যাটারি অটো ও রিক্সার কারণে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বাড়ছে। বৈদ্যুতিক মোটরচালিত এসব অটো ও রিক্সায় ব্যাটারির চার্জ দিতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগও বাড়ছে। যার ফলে ঘটে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা।
যান্ত্রিক এসব রিক্সা চালাতে শারীরিক পরিশ্রম নেই বলে চালকদের আগ্রহ বেশি। শারীরিক শ্রম কম হয় বলে ব্যাটারি রিক্সাই এখন তাদের প্রথম পছন্দ। তবে এসব রিক্সার সামনে ব্রেক থাকায়, তা হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলেই অনেক সময়ে উল্টে যায়। এছাড়া মহিলাদের ওড়না চাকায় পেঁচিয়ে দুর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী। তাছাড়া সিএনজি, প্রাইভেটকারের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে সড়কে ব্যাটারি রিক্সা উল্টে গিয়ে আহত হয় চালকসহ যাত্রীরা।
সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, মহাসড়কে ব্যাটারি রিক্সা চলতে দেয়া হয় না। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব বাহন অবৈধ হওয়ায় তা সড়কে পাওয়া গেলে জব্দ করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের বক্তব্য এমন হলেও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। নগরীর অলিগলি ও শহরের অধিকাংশ সড়কেই ব্যাটারি রিক্সার চলাচল থামেনি। অভিযোগ আছে, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় লাইনম্যান দিয়ে ব্যাটারি রিক্সা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় ট্রাফিক পুলিশ কিছু সাধারন জনগনের গাড়ি আটক করলেও আটক করছে না স্টিকার লাগানো অটো ও মিশুক।