আলহাজ্ব নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বন্দরে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করেন, সেই সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদসদস্য সেলিম ওসমান, ৩ আসনের সংসদসদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, ৪ আসনের সংসদসদস্য শামীম ওসমান সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, কিন্তু সেইখানে উপস্থিত ছিলেন না নাসিম ওসমান এর সহধর্মিণী জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য পারভীন ওসমান নাসিম ওসমান এর একমাত্র পুত্র আজমেরী ওসমান, এতে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে।
অনেক নেতাকর্মী বলছে যার স্বামীর নামে সেতু যার বাবার নামে সেতু তারা যদি না দাওয়াত না পায় এটা আমাদের লজ্জার বিষয়।
পারভীন ওসমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি গত কয়েকদিন ধরেই এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলছিলাম। আমি চরমভাবে ক্ষুব্ধ বিষয়টি নিয়ে। আমার স্বামীর নামে সেতুর নামকরন করা হয়েছে। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু স্বপ্নের এ সেতুর উদ্বোধন করা হলো অথচ আমাকে দাওয়াতটা পর্যন্ত দেয়া হলো না! আমি সত্যিই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। বারবার একটা পক্ষ আমাকে দাওয়াত দেয়া থেকে বঞ্চিত করছে। এর পেছনে নিশ্চই কারো হাত আছে। আমি অন্য একটা দল করতে পারি। কিন্তু তার চেয়ে বড় পরিচয় আমি নাসিম ওসমান সাহেবের স্ত্রী। যার নামে সেতু, তার স্ত্রীকে বা পরিবারের সদস্যদের দাওয়াত দেয়া হবে না- এটা হতেই পারে না। অন্তত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমাকে দাওয়াত দেয়া উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি জানি না কারা এর পেছনে কাজ করছে। তবে এটা পরিস্কার একটা পক্ষ চায় না আমি কোন প্রোগামে যাই। আজকের ঘটনায় আমি অনেকটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমি কেন কার্ড পাবো না উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের? আমি সবকিছুর পরেও মিসেস নাসিম ওসমান। এতোটুকু পরিচয়ই দাওয়াত পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু কারা পর্দার আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছে সেটা খুঁজে বের করা দরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও সেতুটি করার পেছনে নাসিম ওসমানের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, নাসিম ওসমান আমার ছোট ভাই শেখ কামালের বন্ধু ছিল। সে ১৫ আগষ্টের কালো রাত্রিতে নববধূকে রেখে ভারতে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। আমাকে বড় বোনের মতো শ্রদ্ধা করতো সব সময়। নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টি করলেও আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত।