হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সপ্তম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
সাক্ষ্যদাতারা হলেন- সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কোবায়েদ হোসেন ও বোরহান দর্জি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
এই মামলার চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৪০ জন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, দুইজন পুলিশ কমকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
তাদেরকে আমরা জেরা করে আসামিকে নির্দোষ প্রমানের চেষ্টা করেছি।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন মামুনুল হক এই ধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, মামুনুল হককে রোববার (২ অক্টোবর) কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। সোমবার সকাল ৯টায় জেলা কারাগার থেকে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে আনা হয়েছিল মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।