নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চাঞ্চল্যকর মিশুক চালক কায়েস হত্যা’র মূল পরিকল্পনাকারী আল আমিন হোসেন @ লিমন @ রিমন (২০)’কে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
সোমবার (৩ অক্টোবর) ভোর রাতে ফতুল্লা’র তল্লা এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বন্দর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
একই দিন দুপুর পৌনে ২ টায় র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প এর কোম্পানী কমান্ডার উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লীডার এ কে এম মুনিরুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া যে কোন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত করে আসছে।
গত ১ অক্টোবর বন্দরের নরপদি গ্রাম হতে নিখোঁজ মিশুক চালক মোঃ কায়েস এর হাত-পা, মুখ বাধা অবস্থায় অর্ধগলিত মৃতদেহ বন্দর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৩, তারিখ-০১/১০/২০২২ ইং। ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় যা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ অক্টোবর ভোর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর অভিযানে চাঞ্চল্যকর মিশুক চালক মোঃ কায়েস হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আল আমিন হোসেন @ লিমন @ রিমন (২০), পিতা- নাছির উদ্দিন বিটল, সাং- তিনগাঁও (ভদ্রাসন), থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ’কে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন তল্লা এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিমের সাথে আসামীর পূর্ব বিরোধ ছিল। এই পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামী লিমন ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে তার অন্যান্য সহযোগিদের সহায়তায় ধারালো দা দিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মিশুক গাড়ীটি অন্যত্র স্থানান্তর করতে গেলে স্থানীয় লোকজনের জিজ্ঞাসার মুখে আসামীরা মিশুকটি রেখে পালিয়ে যায়। মূলত আসামী লিমন উক্ত হত্যার পরিকল্পনা করে এবং অন্যান্য সহযোগিদের সহায়তায় তা বাস্তবায়ন করে।
উক্ত হত্যা মামলার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।