নারায়নগঞ্জের প্রায় বেশীরভাগ এলাকাগুলোতে রয়েছে বড় শাহজাহানের ভ্রাম্যমাণ জুয়ার আসর।কিছুতেই থামিয়ে রাখা যাচ্ছেনা বড় শাহজাহানের এই জুয়ার আসর।বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হওয়ার পরও শাহজাহান আরো বেপোরোয়া হয়ে ভ্রাম্যমাণ জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে।
নারায়নগঞ্জে জুয়ার বোর্ড চালায় নারায়নগঞ্জ বাস টার্মিনালের একসময়ের ড্রাইভার বড় শাহজাহান ওরফে মদদী শাহজাহান। তার সহযোগী ছোট শাহজাহান ওরফে বিদ্যুৎ চোর শাহজাহান ওরফে টোকাই শাহজাহান। এরা থানা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু মদখোর নেতাদের ম্যানেজ করে মাসের পর মাস বছরের পর বছর জুয়ার আসর চালিয়ে এই দুই শাহজাহান এখন শহরের নদীর ওপারে অনেক জমিজমার মালিক।
নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে জুয়ার বোর্ডের আলোচিত দু’টি নাম ছোট শাহজাহান ও বড় শাহজাহান। পরিবহন জগতের সাথে থাকা বড় শাহজাহানের ব্যাপক পরিচিতি থাকার ফলে জুয়ার আসরেও তেমন নাম ভেসে উঠে এ শাহজাহানের। অথচ ১নং রেলষ্টেশনের অসাধু কিছু কর্মকর্তার জোগসাজসে সরকারী বিদ্যুৎ ফুটপাতের দোকানে ভাড়া দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া ছোট শাহজাহানও এখন শহর ও শহরতলীতে প্রতিটি জুয়ার বোর্ডের পার্টনার বনে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। তবে দুই জুয়ারী শাহজাহানের মধ্যে ছোট শাজাহান সবসময় থাকে লোক চক্ষুর অন্তরালে।
মজার তথ্য হচ্ছে জুয়ার আসরে র্যাব, পুলিশ, ডিবি পুলিশ হানা দিয়ে বা অভিযান চালিয়ে জুয়াড়ি গ্রেফতার করে জুয়াখেলার ব্যবহৃত তাস এবং নগদ টাকা উদ্ধার করে জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে মামলা হয় কোর্টে পাঠানো হয় আসামিদের কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে। কিন্তু গ্রেফতার হয়না জুয়ার বোর্ডের যারা মালিক সেই কুখ্যাত জুয়ারু বড় শাহজাহান আর ছোট শাহজাহান।
ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়ারির পরিবার জানায়,তার জামাই সব সময় জুয়া খেলে খালিহাতে বাড়ি ফিরে আসে।কিছুদিন আগে তার সন্তানের জন্য দুধ আনার কথা জামাইকে বললে তিনি কিছু টাকার লাভের আসায় জুয়া খেলে খালি হাতে বাচ্চার দুধ না নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।তাদের প্রশাসনের নিকট একটাই দাবি যাতে অতি শীঘ্রই এই জুয়ার আসরের উপর পদক্ষেপ নেয়া হয় নয়ত প্রতিটি পরিবার অল্পতেই ধংস্ব হয়ে যাবে।
নারায়ণগঞ্জ সচেতন মহল এবং জুয়ারিদের পরিবারের নারায়নগঞ্জের ডিবি,পুলিশ এবং র্যাবের নিকট একটাই দাবী যাতে অতি শীঘ্রই এই জুয়ার আসর নারায়ণগঞ্জ থেকে উচ্ছেদ করা হয়।