নারায়ণগঞ্জ শহরে খুব সহজেই যানজটের কবল থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়া যেতে পরে। নাসিক ও প্রশাসন যৌথ উদ্যেগ নিয়ে কঠোরভাবে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করলে এবং মৌমিতার বাসের রাস্তার মাঝখানের থামিয়ে যাত্রী নেয়া বন্ধ করলে এই যানজট অনেকটাই কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
নগরীর চাষাঢ়া থেকে নিতাইগঞ্জ, ওই দিকে চাষাড়া থেকে পঞ্চবটি রাস্তায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানযট। এমনকি চাষাড়া থেকে নবীগঞ্জ ঘাটে যাওয়ার রাস্তায়ও একই অবস্থা। পন্য বহনকারী বড় ট্রাক-পিক আপ ভ্যান, প্রাইভেট কার, বাস, রিক্সা-অটোরিক্সা-লেগুনা ছিল সড়ক গুলোতে।
চাষাঢ়া গোলচত্বরের চারপাশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা (সিএনজি) ও নিষিদ্ধঘোষিত টু স্ট্রোক ইঞ্জিনের বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় যানজট ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
পুলিশ হকারদের উচ্ছেদ করলেও কেন উচ্ছেদ করছে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো এবং কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা মৌমিতা বাসের উপর এমনটাই জানান হকার ব্যবসায়ীরা।
সাগর নামে এক হকার ব্যবসায়ী জানান,পুলিশ প্রতিদিন তাদের দুকান ভাংচুর সহ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও উচ্ছেদ করছেন শহরে থাকা অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো।আসলে শহরের প্রধান যানজটের কারন হচ্ছে মৌমিতা ও অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড কিন্ত তাদের উপর কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলেও তারা গরিবের পেটে লাত্তি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
শহরের যানজটের প্রধান কারন হয়ে দাড়িয়েছে শহীদ মিনারের পাশে, সমবায়ের সামনে,সুগন্ধা বেকারীর সামনে এবং ২ নং রেল গেইট অবস্থিত সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো।এদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলে শহরে যানজটের সংখ্যা অনেক কমে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।